পাশাপাশি: বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সঙ্গে সচিন পাইলট। বৃহস্পতিবার জয়পুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। ছবি: পিটিআই।
কথা ছিল, বুকে টেনে নেবেন।
বুকে না-টানলেও আজ সচিন পাইলটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে পাশে টেনে পিঠে হাত রাখলেন অশোক গহলৌত।
এক মাস আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজির থেকে পাইলট খাতায়-কলমে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন। আজ সেই গহলৌতের বাড়িতেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে গিয়ে বিদ্রোহে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইতি টানলেন পাইলট। ক’দিন আগে তাঁকে ‘নিকম্মা’ আখ্যা দেওয়া গহলৌতের মুখেও আজ শোনা গেল ‘সব ভুলে গিয়ে ক্ষমা করা’-র মন্ত্র।
কিন্তু সত্যিই কি রাজস্থানের রাজকাহিনিতে সবাই সব ভুলে গেলেন? শুক্রবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সচিন ও তাঁর অনুগামী ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিদ্রোহের পরে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে এই অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। আজ গহলৌত পরিষদীয় দলের বৈঠকে দাবি করেছেন, ওই ১৯ জন ছাড়াও তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখাতেন। ফলে খিঁচ যে একটা থেকেই গিয়েছে, সেটা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: পুরনো গতিতেই ফের রেকর্ড সংক্রমণ দেশে
আরও পড়ুন: টিভি শো শেষ হতেই হার্ট অ্যাটাক, রাজীব ত্যাগীর মৃত্যুতে ফুঁসছেন কংগ্রেস কর্মীরা
গহলৌত-পাইলট দ্বন্দ্ব যাতে মিটে যায়, তা দেখার জন্য দিল্লি থেকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, অজয় মাকেন, রণদীপ সুরজেওয়ালাদের জয়পুরে পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ পরিষদীয় দলের বৈঠকে পাইলটের অনুগামী দুই বিধায়কের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সবাইকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে বৈঠকে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘অনেক ময়নাতদন্ত হয়েছে। আর নয়। আর কোনও সাক্ষাৎকার, বিবৃতি নয়।
এটাই সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর বার্তা। তাঁরা আমাকে জানিয়ে দিতে বলেছেন।’ শীর্ষ নেতৃত্বের সেই নির্দেশ মাথায় রেখে গহলৌত বলেছেন, “গত এক মাসে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, দেশ, রাজ্য, রাজ্যের মানুষ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তা ভুলে গিয়ে ক্ষমা করে দিতে হবে।”
গহলৌত-পাইলট দ্বন্দ্ব আপাতত ধামাচাপা পড়লেও বিজেপি জানিয়েছে, তারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। কংগ্রেসের পাল্টা মন্তব্য, গহলৌত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তৈরি।