বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র
অপরাধের তালিকা থেকে পরকীয়াকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নে গত কাল নারীর ব্যক্তিমর্যাদা এবং সমানাধিকারের পক্ষে বলেছেন তিনি। আজ শবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে বেঞ্চের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেন বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র। পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি মলহোত্রের মত, ধর্মীয় আচার-আচরণে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
কেরলের ওই মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের অবাধ প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে আজ একমত হন বেঞ্চের চার সদস্য। আইনজীবী থেকে সরাসরি বিচারপতির আসনে বসা বিচারপতি মলহোত্রই শুধু ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি জানান, বিশেষ কোনও ধর্মীয় আচরণ বা নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক মনে হলেও আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘ধর্মের ব্যাপারে যুক্তির ধারণা চাপানো যায় না।’’ তবে ‘সতী’র মতো সামাজিক কুপ্রথা রদ করতে আদালত পদক্ষেপ করতেই পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিচারপতি মলহোত্রের কথায়, ‘‘সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় নাগরিকের ধর্মাচরণের যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে, সমানাধিকারের প্রশ্নটি তা অগ্রাহ্য করতে পারে না।’’ শবরীমালা নিয়ে এই রায় দেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানেও প্রভাব ফেলবে বলে তাঁর ধারণা।
বিচারপতি মলহোত্রর এই বিরুদ্ধ মত প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, ‘‘বিচারপতি মলহোত্রের সঙ্গে আমি দ্বিমত। তাঁর মতটাও অবশ্যই পড়ে দেখার মতো। তবে আমি দুঃখিত, শবরীমালা মামলায় বিরোধিতাটা এল এক জন মহিলা বিচারপতির কাছ থেকে।’’