বিশ্বের তাবড় অনলাইন সংস্থাগুলি ফেসবুক থেকে মানুষের তথ্য পেয়েছে শুধু নয়, এখনও পাচ্ছে। যার অর্থ, তাদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মানুষ যে তথ্য ভাগ করে নেন, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা সংস্থার কাছে তা বিক্রি করে আয় করে চলছে মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় ফোনসংস্থা ভারতী এয়ারটেল ও গান শোনানো সংস্থা সাবন।
মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা আগে মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছিল, ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের তথ্য চিনের মোবাইল সংস্থাগুলিকে জোগায়। তবে ২০১৪ সালে তারা নিয়ম পাল্টেছে যাতে এর ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্য সংস্থার হাতে না যায়। তবে সেই সময়েই তারা জানিয়েছিল যে, এটা পুরো বন্ধ হতে এক বছর লাগবে। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাবে ফেসবুক ৭৫০ পাতার যে নথি জমা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চুক্তি মোতাবেক ২০১৫-র পরেও তাদের থেকে তথ্য পেয়ে এসেছে বিভিন্ন সংস্থা।
ফেসবুক এ-ও জানিয়েছে, আলিবাবা, মোজিলা ও অপেরা সফটওয়্যার এই তিনটিকে আগামী দিনেও তথ্য জোগাবে তারা। তবে এরা ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য পাবে, তাঁর বন্ধুদের নয়। ১১টি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের প্রক্রিয়া চলছে। এগুলি হচ্ছে, অ্যামাজন, অ্যাপল, জেমাল্টো, মিরিয়াড, নোকিয়া, স্যামসাং, টোবি, ইউটুটোপিয়া, ভোডাফোন, ইয়াহু, জিং মোবাইল। এদের মধ্যে সাতটির সঙ্গে চলতি জুলাই মাসে ও একটির সঙ্গে আগামী অক্টোবর মাসে চুক্তি শেষ হবে। বাকি তিনটির সঙ্গে চুক্তি মেয়াদ কবে শেষ হবে তার উল্লেখ নেই। ২০১৫-র পরেও তথ্য পেয়ে এসেছে ও চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন তথ্য হস্তান্তর বন্ধ হয়েছে, এমন সংস্থা ৩৮টি। এগুলির মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, ব্ল্যাকবেরি, মোটোরালা /লেনোভো, সোনি, ডেল, ওপ্পো, ডোকোমো, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এইচপি, কো়ডাক, এলজি-র মতো সংস্থা।