বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
চিন এবং ভারতের শক্তির ফারাকের পিছনে রয়েছে, দু’দেশের সংস্কার এবং উৎপাদনমুখী শিল্পায়ন নিয়ে মানসিকতার ফারাক। এই ক্ষেত্রগুলিতে চিন এগিয়ে গিয়েছে গত কয়েক দশকে। যার প্রতিফলন দু’দেশের সম্পর্ক এবং সংঘাতে। ভূকৌশলগত সুযোগ ও পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি আলোচনাচক্রে সম্প্রতি এ কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, প্রাক্তন এই কূটনীতিক বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের এক জন সদস্য হিসাবে ক্রমশ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। পুরনো সরকারের সমালোচনা যার একটি পদক্ষেপ।
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “১৯৮৮ সালে রাজীব গাঁধী প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে (৬২-র যুদ্ধের পর) চিন সফরে যান। তখন ভারত এবং চিনের অর্থনীতির আয়তন ছিল একই। আর আজ তারা সাড়ে চার গুণ বড়। অথচ মনে রাখতে হবে ভারতও কিন্তু সেই ৮৮ সালের ভারত নেই। আমাদেরও বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু সেই বৃদ্ধি আমরা নিজেদের সাপেক্ষেই মেপে এসেছি এত কাল। আমাদের উচিত ছিল চিন অথবা পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আমাদের আর্থিক বৃদ্ধির তুলনা করা।”
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “আমার অনেক জায়গাতেই আরো ভাল করতে পারতাম। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। যেমন চিনের তুলনায় দেড় দশক পরে আমরা শিল্পায়নের এবং সংস্কারের পথে হেঁটেছি। চিন সামাজিক এবং আর্থিক সংস্কার অনেক আগে করে এবং সেটা কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বের কাছে থেকে সুবিধা আদায় করেছে। আমরা এখন যে সংস্কার করছি তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল।”