মধ্যপ্রদেশের জেল থেকে পালানো পাঁচ জঙ্গির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের নির্দেশে খুব শীঘ্রই দেশে বড় ধাঁচের হামলা চালাতে পারে ওই জঙ্গিরা। সব রাজ্যকে ওই পাঁচ জঙ্গি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান সরকারকে।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলের ১৪ ফুট পাঁচিল টপকে সাত বন্দি পালায়। তাদের মধ্যে ছ’জন নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র সদস্য। গত বছর ডিসেম্বরে ওই দলের নেতা ফয়জলকে মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মহম্মদ ইজাজুদ্দিন, মহম্মদ আসলাম, আমজাদ খান, জাকির হুসেন সাদিক ও মেহবুব গুড্ডুকে ধরা যায়নি। তারাই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে বড় জঙ্গি হামলার ছক কষছে বলে জানিয়েছে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্প্রতি সীমান্তপারে আইএসআই-এর দুই অফিসারের কথার্বাতা আড়ি পেতে শুনেছেন তাঁরা। তাতে ওই পাঁচ জনকে ‘বড় কাজ’ দেওয়া হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কাজটি কী তা অবশ্য স্পষ্ট করতে চায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। তবে সূত্রের খবর, ওই পাঁচ জনকে বড় মাপের নাশকতা চালাতে নির্দেশ দিয়েছে আইএসআই।
মধ্যপ্রদেশের জেল থেকে পালিয়েছে এরাই।
গত বছর জেল থেকে পালানোর পরে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে ওই জঙ্গিরা গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, ফেব্রুয়ারিতে তেলঙ্গানার করিমনগরে ডাকাতি, মে মাসে বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি ট্রেনে হামলার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনায় ওই জঙ্গিরা জড়িত। পলাতকদের মধ্যে মেহবুবের বাড়ি খান্ডোয়াতেই। সেখানে তার মা নাজমা থাকতেন। কয়েক মাস ধরে তিনিও নিখোঁজ। পুলিশের ধারণা, তিনি ছেলের সঙ্গেই লুকিয়ে আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, পলাতকদের শেষ কর্নাটকে দেখা গিয়েছে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পরে আইএসআইয়ের নির্দেশে দেশ জুড়ে আরও উপদ্রব করতে চায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ভারত-পাক সম্পর্কের বরফ যাতে একেবারেই না গলে সেজন্য মরিয়া চেষ্টা করছে আইএসআই ও পাক সেনার একাংশ। পলাতক পাঁচ জঙ্গিকে নিয়ে ছকও সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রেরই অঙ্গ বলে মনে করছে কেন্দ্র।