মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।
মন্দির-মসজিদ বিতর্কে এ বার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের অবস্থানকে সমর্থন করল সঙ্ঘের হিন্দি মুখপত্র। বিষয়টি নিয়ে আরএসএসের ইংরেজি মুখপত্র এবং ভাগবতের বক্তব্যের মধ্যে যে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছিল, তা সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছে হিন্দি মুখপত্রটি। দুই বক্তব্যের মধ্যে ভিন্ন মত হওয়ায় পরে ইংরেজি মুখপত্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সঙ্ঘপ্রধানের সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
গত মাসে পুণেতে এক সভায় মন্দির-মসজিদ বিতর্কে ইতি টানার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ভাগবত। যে ভাবে মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ খোঁজা শুরু হয়েছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে অশুভ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আজ সেই সুরেই সঙ্ঘের হিন্দি মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোহন ভাগবত ওই বক্তব্যের মাধম্যে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে বিবেচনাবোধ প্রয়োগের কথা বলেছেন। এ নিয়ে দেশে যে অনাবশ্যক বিতর্ক ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে, তা এড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন সরসঙ্ঘচালক। ওই মুখপত্রে আরও বলা হয়েছে, মন্দির হিন্দুদের কাছে বিশ্বাসের কেন্দ্র। কিন্তু রাজনৈতিক লাভের জন্য তাকে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এখন মন্দির-মসজিদ বিতর্ক চিন্তাজনক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। যাকে আরও হাওয়া দিচ্ছে সমাজমাধ্যম।
হিন্দি মুখপত্রে ওই কথা বলা হলেও, আরএসএস পরিচালিত ইংরেজি মুখপত্রের সর্বশেষ সংস্করণের মূল প্রচ্ছদ কাহিনি হয়েছিল সম্ভল মন্দির-মসজিদ বিতর্ক নিয়ে। যেখানে বলা হয়, সভ্যতা সংক্রান্ত ন্যায়বিচারের জন্য বিতর্কিত স্থল ও কাঠামোর প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের। সঙ্ঘ প্রধান যখন মন্দির-মসজিদ বিতর্ক এড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন, তখন আরএসএসের ইংরেজি মুখপত্রেই ভিন্ন পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেওয়ায় জলঘোলা শুরু হয়। পরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সঙ্ঘের ইংরেজি মুখপত্রের সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকর বিবৃতি দিয়ে বলেন, মুখপত্রের সম্পাদকীয় ও মোহন ভাগবত পুণেতে যে বক্তব্য রেখেছিলেন— তার মধ্যে সম্পর্ক জুড়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। যা অর্থহীন। আরএসএসের ইংরেজি মুখপত্র সর্বদা সম্প্রীতির পক্ষে। ভারতের বিশ্বগুরু হওয়ার প্রশ্নে সামাজিক সম্প্রীতিকে একটি অন্যতম শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছিলেন সঙ্ঘ প্রধান। ইংরেজি মুখপত্র সেই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করে।