(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ট বঢরা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রথম বার নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বামী রবার্ট বঢরা। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘সঠিক সময়ে’ তিনি স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে অনুসরণ করতে চান। রবার্টের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সাংসদ হিসাবে তিনি যে সংসদে যেতে চান, তা আরও এক বার খুল্লমখুল্লা জানিয়ে দিলেন রবার্ট।
স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রবার্ট সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “আমি খুশি, কারণ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ওয়েনাড় থেকে লড়াই করতে চলেছেন। তাঁর সংসদে যাওয়া উচিত। আমিও চাই উনি সংসদে যান।” একই সঙ্গে রবার্টের সংযোজন, “আমার আগে ওঁর সংসদে যাওয়া উচিত। আমি সঠিক সময়ে তাঁকে অনুসরণ করতে পারি। আমার আশা মানুষ প্রিয়ঙ্কার পক্ষে রায় দেবেন।”
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও সাংসদ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সনিয়া গান্ধীর জামাতা। কংগ্রেসের ‘গড়’ অমেঠী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, “এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাবি উঠেছে। মানুষ জানে আমি কঠোর পরিশ্রম করি এবং আমি জনপ্রতিনিধি হলে উন্নয়নের কাজ হবে।” যদিও কংগ্রেস রবার্ট নয়, প্রার্থী করেছিল গান্ধী পরিবারের ‘আস্থাভাজন’ বলে পরিচিত কিশোরীলাল শর্মাকে। কিশোরীলাল হারিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানিকে। রবার্ট অবশ্য মঙ্গলবার বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্য ভারতের মানুষ বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েছে।”
এই লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন রাহুল। নিয়ম মোতাবেক তাঁকে একটি কেন্দ্র ছাড়তে হবে। সোমবার রাহুল নিজেই জানান, ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। সেখানে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন বোন প্রিয়ঙ্কা। দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করলেও এই প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা।