রো খন্না। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকান কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে দর্শকাসনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই প্রতিনিধিদলের ডেমোক্র্যাট নেতা রো খন্না আজ দেখা করলেন গুরুগ্রামের সাম্প্রতিক হিংসার কবলে পড়া সংখ্যালঘুদের সঙ্গে। মণিপুরের একটি প্রতিনিধিদল এবং জেলবন্দি মানবাধিকার কর্মী উমর খালিদের বাবার সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। কথা বলেছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধীর সঙ্গে। টুইটারে খন্না লিখেছেন, “আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে বহুত্ববাদ এবং মুসলিম-সহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে।”
নিঃসন্দেহে মোদী সরকারের কাছে বিষয়টি অস্বস্তিজনক। বিশেষত এমন একটি সময়ে আমেরিকার কর্তাদের এই পদক্ষেপ, যখন নয়াদিল্লিতে কড়া নাড়ছে জি২০। সাংবাদিকদের কাছে খন্না বলেছেন, “মণিপুরের প্রতিনিধিরা আমায় জানিয়েছেন যে তাঁরা ভারতকে ভালবাসেন। এখানে তাঁদের বহু প্রজন্মের বসবাস। তাঁরা সম্মানের সঙ্গে ভারতেই থাকতে চান। এঁদের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিজের দেশেও আমি মাটির কাছের মানুষের কথা শুনি।” মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধীর সঙ্গেও গত কাল বৈঠক করেন খন্না। আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে বৈঠকের পর তুষার নিজে টুইট করে লেখেন, “আমি তাঁকে ভারতের অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছি। ভারত এখন ঘৃণার নরক হয়ে গিয়েছে। সবাই ত্রাস এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কাল প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরই খন্না টুইট করে বলেন, তুষার গান্ধীর কথা সর্বাধিক অর্থপূর্ণ।