Biplab Kumar Deb

এখন সম্ভব নয় নদীপথে বাণিজ্য, বিপ্লবের দাবি উড়িয়ে জানাল ঢাকা

১০ জুলাই আগরতলা টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব দাবি করেন, রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে পণ্য আসবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২০ ০৫:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশ থেকে আপাতত ত্রিপুরায় নদীপথে পণ্য আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল সে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ দল। ১০ জুলাই আগরতলা টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব দাবি করেন, রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে পণ্য আসবে। পরে সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত না হওয়ায় সোনামুড়ায় কাগজের নৌকো ভাসিয়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। ৪ অগষ্ট নদীপথে বাংলাদেশের দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত ছোট ভেসেল (জলযান) করে পরীক্ষামূলক ভাবে পণ্য আমদানি-রফতানিতে দুই দেশই সম্মতি জানায়।

Advertisement

এর পরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞেরা ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের অংশে নদী সমীক্ষা করেন।এই বিষয়ে আজ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক জানিয়েছেন, চলতি বর্ষায় কোনওভাবেই বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি করা সম্ভব নয়। ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে বাংলদেশের অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীপথে প্রচুর সমস্যা রয়েছে। নাব্যতা সঙ্কট, গাছের গুঁড়ি থাকা এবং জলপ্রবাহ কম হওয়ায় পণ্য পরিবহণে বাধা সৃষ্টি হবে। ফলে পণ্য পরিবহণের চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাঁর মতে, নদীপথ সরু হওয়ায় জলযান মাঝপথে আটকে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কমোডোর সাদেকের মতে, আগামী শীতে ড্রেজিংয়ের কাজ করার জন্যে পরিকল্পনা মন্ত্রকে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অংশে নদীতে ২৩টি সেতু আছে। এর মধ্যে লোহার সেতুগুলিকে উঁচু করতে হবে। তার পরে আগামী বর্ষায় জল থাকলে বার্জ চলাচল করতে পারে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা যাবে। এখন স্পিডবোটে যাতায়াত করাই কঠিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement