ভাঙনের গ্রাসে পূর্ত সড়ক। লালার নিমাইচাঁদপুরে। অমিত দাসের তোলা ছবি।
নদীভাঙনে একের পর এক বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে কাটাখালের গর্ভে। লালা সার্কেলের নিমাইচাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলনবাজার এলাকায়।
হাইলাকান্দি নির্বাচন কেন্দ্রের ওই এলাকার শেখপাড়া, বাঁশডহর, রাজ্যেশ্বরপুর, কাঁটাগাঁও ও মিলনবাজার গ্রামের কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি বাড়ি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাইলাকান্দির জলসম্পদ বিভাগের কর্মীরা ভাঙন মোকাবিলায় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে কোনও সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে নিমাইচাঁদপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাটাখাল-গোদামঘাট পুর্ত সড়ক, এলাকার কয়েকটি মন্দির–মসজিদ। রজব আলি, শেখ ইসলামউদ্দিন, বুদুল মিঁঞা জানান, কয়েক জন পড়শির মতো তাঁদের বাড়িঘরও যে কোনও সময় জলে ডুবে যেতে পারে। প্রশাসনের উপর ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। জলসম্পদ বিভাগের সমালোচনায় সরব গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, নদী ভাঙন রুখতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাজ হচ্ছে না। বিভাগীয় কর্মীদের একাংশ এবং ঠিকাদারদের কয়েক জন সরকারি টাকা লোপাট করছেন।
নদী ভাঙনে উদ্বিগ্ন নিমাইচাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি ময়না মিয়া লস্কর জানান, তাঁরা ভাঙন মেরামতির জন্য একাধিক বার জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জনিয়েছেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসী বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্করের কাছে দরবার করছেন।
ভোট প্রস্তুতি। মণিপুর বাগান সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতি গঠন করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল-পর্ব শুরু হল। সোমবার মনোনয়নপত্রগুলি গ্রহণ করা হয়। ১৫টি পদের জন্য ২৪টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ১২টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষনা করা হয়। কাটলিছড়ার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক জেমস আইন্ড সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রিটার্নিং অফিসার বিয়ব্রত ধর, সহকারী রিটার্নিং অফিসার রেহান আহমেদ।
কাড়িছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন-র্চাজ কল্যাণ বরার নেতৃত্বে পুলিশ ও সিআরপি বাহিনী সেখানে মোতায়েন ছিল। ২৭ অক্টোবর সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সে দিন ১২টি পদের জন্য ভোটগ্রহণ ও ৩টি পদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে।