Lok Sabha Election 2024

লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’য় ফাটল, মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের দাবি ২৩, নারাজ কংগ্রেস

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী হিসাবে শিবসেনা ২৩টি আসনে লড়েছিল। জিতেছিল ১৮টিতে। কিন্তু তার মধ্যে ১২ জনই উদ্ধব ঠাকরেকে ছেড়ে একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৭
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র মেনে আগামী লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু হতেই ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বধীন শিবসেনা (ইউবিটি) সে রাজ্যের ৪৮টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে লড়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে সরাসরি সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোটের আর এক শরিক এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী)-ও বালাসাহেব পুত্রের ওই দাবির বিরোধিতা করেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রাক্তন সাংসদ তথা মুম্বই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম বৃহস্পতিবার উদ্ধব গোষ্ঠীর ২৩ আসনে লড়ার দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২০১৯ সালে পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। শিবসেনায় ভাঙনের পরে উদ্ধবের দল এখন বড় সঙ্কটের মুখে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী হিসাবে শিবসেনা ২৩টি আসনে লড়েছিল। জিতেছিল ১৮টিতে। কিন্তু ২০২২ সালের জুনে একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর বিদ্রোহের পরে ১২ জন সাংসদই হাতছাড়া হয়েছে বালাসাহের ঠাকরের পুত্রের। শিন্ডের কাছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব এমনকি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রয়াত পিতার তৈরি দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ও খুইয়েছেন উদ্ধব!

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, পাঁচ বছর আগেকার রফাসূত্র মেনে আসন বোঝাপড়া সম্ভব নয়। শুধু শিবসেনা নয়, সঞ্জয়ের বক্তব্যে শরদ পওয়ারের দল এনসিপির সাম্প্রতিক ভাঙনের প্রসঙ্গও এসেছে। ভাইপো অজিত পওয়ার যে শিন্ডের মতোই দলের সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপির সহযোগী হয়েছেন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২০১৯-এ কংগ্রেস ২৫ এবং এনসিপি ১৯টি লোকসভা কেন্দ্রে লড়েছিল। সঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘‘শিবসেনা এবং এনসিপি ভাঙার পরে কংগ্রেসই তো এখন মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।’’ অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বাণ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘শিবসেনা (ইউবিটি) তাদের শক্তির তুলনায় অনেক বেশি আসন দাবি করছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement