পাঁচ দিন পর ঘুম পাড়ানো গেল চতিয়ার গন্ডারকে। সপ্তাহের প্রথম দিকে কাজিরাঙা থেকে বেরিয়ে আসা গন্ডারটি ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে শোণিতপুর জেলার চতিয়ায় ষষ্ঠ সংযোজন এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। তার পর থেকে কখনও সে ধাওয়া করেছে গ্রামবাসী বা বনকর্মীদের, কখনও বনকর্মীরা ধাওয়া করেছে গন্ডারকে। কিন্তু গত চার দিনে চার বার গন্ডারটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়লেও সে ঘুমোয়নি। যা ভাবিয়ে তোলে বন দফতরকে। চতিয়ার ভুঁইঞাপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া গন্ডারটিকে কাবু করতে কাজিরাঙার পশু চিকিৎসকরা এটরফিন বা এম-৯৯ ওষুধ ঢোকানো ডার্ট ছোঁড়েন। সে অজ্ঞান হচ্ছিল না। গত কাল চতুর্থ বার ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়ার পরে সে ঘুমিয়েছে ভেবে বনরক্ষী ও চিকিৎসকরা কাছে যেতেই সে ধড়মড়িয়ে উঠে তাঁদের তাড়া করে। গুঁতিয়ে ভাঙে একটি মোটরবাইক।
শেষ পর্যন্ত কুশলকুমার শর্মা গুয়াহাটি থেকে নতুন এম-৯৯ এর ফাইল নিয়ে আজ চতিয়া যান। তিনি গন্ডারটিকে গুলি করে কাবু করেন। পরে দড়ির জালে বেঁধে, গন্ডারটিকে ট্রাকে তোলা হয়। কাজিরঙায় ফিরিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়।