নীতীশ কুমার ও রবিশঙ্কর প্রসাদ।— ফাইল চিত্র
বিহারে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। ক্ষমতায় ফিরলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষা এবং চাকরিতে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসেছেন নীতিশ। জনগণনার তথ্য হাতে না থাকায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ওই মন্তব্যের পর, নীতীশের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, আইনের আওতাতেই সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার চম্পারণের বাল্মীকি নগরে এক জনসভায় নীতীশকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জনসংখ্যাভিত্তিক সংরক্ষণের কথা বলতে গেলে আদমসুমারি হওয়ার পরই বোঝা যাবে। যদিও আদমসুমারির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আমরা চাই, সংরক্ষণ হোক যে কোনও শ্রেণির জনসংখ্যার অনুপাতে।’’ তবে তিনি শ্রেণিভিত্তিক আদমসুমারির কথা বলছেন কি না তা স্পষ্ট করেননি নীতিশ।
প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে বিহারে। আগামী ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর বাকি দুই দফা। শেষ দফায় উপ নির্বাচন হবে বাল্মীকি নগর লোকসভাতেও। সেই বাল্মীকি নগরেই সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি নীতীশের। সেই আশ্বাস যে শুধুমাত্র উপনির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নয়, তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। আর এ নিয়েই ভিন্ন বার্তা দিয়েছেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। সংবিধানে যে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে তা আমরা সমর্থন করি। কিন্তু বিজেপি শুধু প্রান্তিকদেরই প্রতিশ্রুতি দেয়নি।’’ নীতীশের প্রতিশ্রুতির পর, রবিশঙ্করের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘সন্তান হারানোর’ পুলওয়ামা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়, বলল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট
কোভিডের কারণে জনগণনার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কবে ফের তা শুরু হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।