রবিবার রায়গড়ে উদ্ধারকারী দল। ছবি: পিটিআই।
এখনও ৭৮ জন নিখোঁজ। এর মধ্যেই রবিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ধসে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। চার দিন আগে রায়গড়ে ধসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে খবর, এখনও ৭৮ জনের দেহ উদ্ধার করা যায়নি।
গ্রামবাসী, উদ্ধারকারী দল এবং রাজ্য সরকারের বৈঠকে উদ্ধারকাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার শেষ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটি পচাগলা দেহ ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দেহগুলিতে পচন শুরু হয়েছে। শনাক্ত করা যাচ্ছে না। লাশের দুর্গন্ধে ছেয়ে গিয়েছে এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে তাই উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
গত বুধবার ভোরে রায়গড় জেলার ইরশালবাদী গ্রামে ধস নামে। পাহাড় ধসে গ্রামের একটা বড় অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। ওই সময় অনেকে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই অবস্থানেই বাড়ি ধসে গিয়েছে। অনেক বাড়ি কাদামাটিতে বসেও গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি করেনি। তবে প্রবল বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ বার বার ব্যাহত হয়েছে। গ্রামটি পাহাড়ের মাঝে, সমতল থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে। সেখানে পৌঁছনোর তেমন কোনও রাস্তা নেই। দুর্গমতাই উদ্ধারকাজের অন্যতম প্রতিবন্ধক।
রায়গড়ে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। আহতদের চিকিৎসাও হচ্ছে সরকারি খরচে। এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমিধসে দুই থেকে ১৪ বছরের যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের পরিবার হারিয়েছে, তাদের লেখাপড়া-সহ সামগ্রিক দায়িত্ব নেবে তাঁর শ্রীকান্ত শিন্ডে ফাউন্ডেশন। ধসের কারণে যাঁরা আধার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ শিবির করা হবে।