সংক্রমণের ভয়ে মুখ ফেরালেন আত্মীয়রা, শেষকৃত্য করলেন ডাক্তারই

সব চেষ্টা করে রোগীকে বাঁচাতে না পারলেও নিজে হাতে তাঁদের অন্ত্যেষ্টি করেছেন এক জন। তিনি চিকিৎসক আর এস গোপাকুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোঝিকোড় শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০৪:১০
Share:

নিপায় আক্রান্ত ১২ জন রোগীর শেষকৃত্যের তদারকি করেছেন ওই চিকিৎসক।

সংক্রমণের ভয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন আপনজনেরা। কিন্তু সব চেষ্টা করে রোগীকে বাঁচাতে না পারলেও নিজে হাতে তাঁদের অন্ত্যেষ্টি করেছেন এক জন। তিনি চিকিৎসক আর এস গোপাকুমার।

Advertisement

কোঝিকোড়ের ৪১ বছরের এই ডাক্তার জানালেন, নিপায় আক্রান্ত ১২ জন রোগীর শেষকৃত্যের তদারকি করেছেন তিনি। ৩ জনের গোটা অন্ত্যেষ্টিই নিজে হাতে সারেন তিনি।

‘‘সতেরো বছরের এক কিশোরের অন্ত্যেষ্টি আমি একা করেছি। ছেলেটির মা-ও সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বাকি আত্মীয়েরা ছেলেটির দেহ ছুঁতেই অস্বীকার করেন। আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দু’বারও ভাবিনি। হিন্দু নিয়ম মেনে অন্ত্যেষ্টি সেরেছি ওর। ওর মা-ই আমায় সেই অনুমতি দিয়েছিলেন,’’ বলেছেন গোপাকুমার।

Advertisement

নিপায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে যে সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়, তা সবইই মানা হচ্ছে বলে জানান গোপাকুমার। তাঁর কথায়, ‘‘ইবোলার ক্ষেত্রে যে ধরনের সকর্তকা নেওয়া হয়ে থাকে, সেটাই করেছি।’’ তিনি জানান, পুণের ‘ন্যাশনাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানী রেশমা সহায় আপাতত সব মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়ার দেখাশোনা করছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত কালই প্রশংসা করেছেন ওই চিকিৎসকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement