চলছে পরীক্ষা।— নিজস্ব চিত্র।
নকল হইতে সাবধান!
এই অতিরিক্ত সাবধানতাই কাল হল সেনাবাহিনীর। গত রবিবার বিহারের মুজফ্ফরপুরের চক্কর ময়দানে সেনা-করণিক পদের লিখিত পরীক্ষায় শুধু অন্তর্বাস-সম্বল করে বসতে হয় ১১৫৯ জন পরীক্ষার্থীকে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ায় অস্বস্তি ও আইনি প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেনাবাহিনী।
আজই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি, স্থানীয় একটি হিন্দি কাগজে প্রকাশিত খবর ও ছবির ভিত্তিতে পটনা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ মামলা রুজু করেছে। পটনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইকবাল আহমেদ আনসারি এবং বিচারপতি চক্রধারীশরণ সিংহ ৫ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিবকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মুজফ্ফরপুর সেনা-ছাউনির ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্ণেল বি এস গোধরা অবশ্য পরীক্ষার এই পদ্ধতিতে অন্যায় দেখছেন না। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের সমস্যাটা কী? কোনও পরীক্ষার্থী তো আমাদের অভিযোগ জানাননি। ঠিক ভাবে পরীক্ষা নিতেই এমন করা হয়েছে।’’ বিহারে সম্প্রতি গণ টোকাটুকির বহু অভিযোগ সামনে আসায় কঠোর মনোভাব নিয়েছে রাজ্য সরকার। কড়া হাতে নকল রুখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও সরকার দিয়েছে।
সেনা করণিকের ওই পরীক্ষায় দৌড় এবং মেডিক্যাল পরীক্ষায় সফল উত্তর বিহারের আটটি জেলা থেকে ওই পরীক্ষার্থীদের ডাকা হয়। এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা। জামাকাপড় খুলে নিয়ে মাঠে পরীক্ষা চলে। কেউ প্রতিবাদ বা অভিযোগ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, এটা চাকরির পরীক্ষা। চূড়ান্ত ধাপ। এর সঙ্গে ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই তাঁরা নীরব। আশঙ্কা সংবাদমাধ্যমে এত হইচইয়ে পরীক্ষাটাই না বাতিল হয়ে যায়!