ফাইল চিত্র।
যান্ত্রিক ত্রুটি, ঘন কুয়াশায় পাহাড়ে ধাক্কা নাকি অন্তর্ঘাত— দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তের হেলিকপ্টার কেন ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখতে আজ ঘটনাস্থলে গেল তদন্তকারী দল ও তামিলনাড়ু পুলিশের একটি দল। আজ সকালে দুর্ঘটনা স্থল ঘুরে দেখেন তদন্তকারী দলের প্রধান এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংহ। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্পূর্ণ হলেই দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট ভাবে বোঝা সম্ভব হবে।
আর যত দিন তা না হয় মৃত্যুর কারণ নিয়ে অযথা জল্পনা না ছড়ানোর অনুরোধ করেছে বায়ুসেনা। আজ বায়ুসেনার পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন বাহিনী মিলিয়ে একটি যৌথ তদন্তকারী দল গড়া হয়েছে। যাদের উপরে ৮ ডিসেম্বরের কপ্টার দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে দেখার দায়িত্ব রয়েছে। ওই তদন্ত খুব দ্রুত শেষ করে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা প্রকাশ্যে আনা হবে। তত দিন পর্যন্ত মৃত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে সব ধরনের জল্পনা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনার পিছনে সে দিনের আবহাওয়াকে বড় একটি কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর বিপিন রাওয়তদের কপ্টার ছাড়ার আগে, সুলুর বিমানঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজ পর্যন্ত পথে আবহাওয়া কেমন ছিল তা দেখার জন্য নিয়মমাফিক দু’টি ছোট হেলিকপ্টার ওড়ার কথা ছিল। যে দু’টির সুলুর থেকে উড়ে ওয়েলিংটন ও সেখান থেকে ফের সুলুরে ফিরে আসার কথা ছিল। তাদের উপরে দায়িত্ব ছিল আধ ঘণ্টার ওই যাত্রাপথের আবহাওয়া কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখার। প্রাথমিক ভাবে সুলুর বিমানঘাঁটি থেকে ওই ছোট হেলিকপ্টারের ওড়ার দাবি করা হলেও, ওয়েলিংটন ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন কোনও হেলিকপ্টার তাদের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেনি বলেই দাবি করেছেন। বিপিন রাওয়তের যে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছিল তার আগে বা পরে কোনও হেলিকপ্টার ওড়ার কোনও শব্দও শোনেননি স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রতিরক্ষা সূত্রের মতে, এ ক্ষেত্রে কে সত্যি বলছে তা তদন্তেই স্পষ্ট হবে। তা ছাড়া সে দিন আবহাওয়া খতিয়ে দেখতে যদি কোনও হেলিকপ্টার উড়েই থাকে সে ক্ষেত্রে বিমানঘাঁটির লগবুকে তা লেখা থাকবে। কিন্তু নিয়ম থাকা সত্ত্বেও যদি আবহাওয়া খতিয়ে দেখতে কপ্টার না উড়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কেন তা ওড়েনি তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী দল।