সাত মাস ধরে মহারাষ্ট্র থেকে দাবি উঠছে, নোট বাতিলের পর সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার হাজার কোটি টাকার বাতিল নোট পড়ে। মোদী সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মোদী সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সমবায় ব্যাঙ্কের সিন্দুকে থাকা পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা নেওয়ার নির্দেশ দিল।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা থেকে এনসিপি নেতারা এত দিন এই দাবি তুলেছিলেন। রাষ্ট্রপতি ভোটের মধ্যেই হঠাৎ মোদী সরকার তাতে সম্মতি দেওয়ায় এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন অনেকে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, মঙ্গলবারই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। এই শিবসেনাই গত সপ্তাহে দাবি তুলেছিল, মহারাষ্ট্রের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে ২৭০০ কোটি টাকার পুরনো নোটে পড়ে রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ সব জমা নিক। বিজেপি শরদ পওয়ারকেও পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এনসিপি-প্রধানও একই দাবি তুলে আসছেন।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের প্রশ্ন, ‘‘রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর জন্য সমর্থন জোটানোর মোক্ষম সময়েই কি মধ্যরাতের এই বিজ্ঞপ্তি?’’ সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি আরও সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘হঠাৎ পুরনো নোট বদলের অনুমতি আসলে কালো টাকা সাদা করার জন্য পিছনের দরজা খুলে দেওয়া।’’ বিরোধীদের বক্তব্য, এই সব সমবায় ব্যাঙ্কে যে আসলে রাজনীতিক ও অসৎ ব্যবসায়ীদের কালো টাকাই জমা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই শিবসেনা ও এনসিপি নেতারা খুশি। তাঁদের যুক্তি, এতে কৃষকরা উপকৃত হবেন। কারণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি আটকে থাকায় কৃষকরা ঋণ পাচ্ছিলেন না। একই যুক্তি অর্থ মন্ত্রকেরও। তাদের দাবি, শুধু মহারাষ্ট্র নয়। অন্ধ্র, কেরলের মতো রাজ্য থেকেও এই দাবি উঠেছিল। এইসব বাতিল নোট নিয়ে কোনও না কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই হত। সুপ্রিম কোর্টকেও তেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।