রবিশঙ্কর প্রসাদ।
ফেসবুক ও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে এ বার মিলল সরকারি আশ্বাস— নির্বাচকদের প্রভাবিত করার মতো অনৈতিক কাজে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
বেঙ্গালুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে একটি আলোচনা সভায় রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতি খুবই স্বচ্ছ। কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোনও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচকদের প্রভাবিত করার মতো যে সব অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠছে, তা একেবারেই করতে দেবে না সরকার।’’ মন্ত্রী জানান, ভারতের মতো বিরাট ও জনবহুল দেশে তথ্য (ডেটা)-র গুরুত্ব অপরিসীম। ধরা যাক কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় রোগ সংক্রমণ ছাড়াল। ডেটা বিশ্লেষণ করে সহজেই সরকার সেটা বুঝে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে নাগরিকদের এই তথ্যপঞ্জির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কেউ তার অপব্যবহার করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাটাও সরকারের দায়িত্ব। প্রসাদ দাবি করেন, সরকার এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল।
আবার মন্ত্রী যখন এ কথা বলছেন, ভিজিল্যান্স কমিশন জানাচ্ছে— আধারের সঙ্গে বিবিধ আর্থিক লেনদেনের তথ্যগুলি বেঁধে দেওয়ায় ‘অসাধু’ লোকেদের ওপর নজরদারির কাজে সুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধরি জানিয়েছেন, অসৎ আমলাদের ধরতে আধার-তথ্য খুবই উপযোগী হবে। কারণ প্যান ও আধার সংযুক্তির ফলে সঞ্চয়ের তথ্য পাওয়াটা এখন অনেক সুবিধার। প্রয়োজনে আয়কর দফতরকেও তাঁরা সঙ্গে নেবেন। নজরদারির কাজে কী ভাবে নতুন সফ্টওয়্যার কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়েও তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছেন।
চৌধরি বলেন, ‘‘এখন সহজেই তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়া যাবে। কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাঁর সঞ্চয় ও সম্পদের ওপরে কী ভাবে নজরদারি করা যায়, সে বিষয়গুলিই এখন আমরা খতিয়ে দেখছি।’’