সাইরাস মিস্ত্রীর শেষকৃত্যে হাজির সিমোন টাটা। ছবি: সংগৃহীত।
সাইরাস মিস্ত্রির শেষকৃত্যে টাটা সন্সের কোনও শীর্ষ কর্তা না এলেও তাঁর সৎমা সিমোন টাটা এলেন। আর শুধু এলেনই না শেষকৃত্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠায় বসেও রইলেন অন্ত্যেষ্টিস্থলে।
সিমোন এখন নবতিপর। তাঁর যাতায়াত পুরোপুরি হুইল চেয়ার-নির্ভর। মঙ্গলবার সাইরাসের শেষকৃত্যে যেখানে রতন-সহ টাটা সন্সের প্রায় কোনও শীর্ষ কর্তাকে দেখা যাচ্ছে না, তখন সেখানে হুইলচেয়ারে বসে থাকা বৃদ্ধা সিমোনের উপস্থিতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
রতনের বাবা নাভাল টাটার দ্বিতীয় স্ত্রী সিমোন ভারতীয় শিল্পজগতের ‘শ্রদ্ধেয়’ ব্যক্তিত্ব। এক কালে টাটার রূপটানের ব্র্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। সিমোন এবং নাভালের এক মাত্র সন্তান নোয়েল টাটাও এই মুহূর্তে টাটা সন্সের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ডের শীর্ষ পদে রয়েছেন। সেই টাটা সন্সের সঙ্গেই আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন সাইরাস। টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরতে হয়েছিল তাঁকে। গোটা বিষয়টি রতন এবং সাইরাসের মধ্যে তিক্ততা আর বৈরিতা তৈরি করেছিল। শেষকৃত্যেও অনুপস্থিত থাকলেন টাটা সন্সের শীর্ষ প্রতিনিধিরা।
অন্য দিকে, রতনের উত্তরসূরি হিসেবে যখন তাঁর সৎভাই এবং সিমোনের সন্তান নোয়েলের কথা ভাবা হচ্ছে, তখনই সাপুরজী পালনজীর মিস্ত্রির কনিষ্ঠ সন্তান সাইরাসকে বেছে নেন রতন। ঘটনাচক্রে, নোয়েলের শ্যালক সাইরাস। পালনজির কন্যা অল্লু মিস্ত্রিকে বিয়ে করেছিলেন নোয়েল। সাইরাস তাঁর ভাই।
সাইরাসের মৃত্যুতে যখন এক দিকে সাপুরজি পালনজী গোষ্ঠীর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে এবং গোটা বিষয়টি নিয়ে রতন টাটা-সহ টাটা সন্সের শীর্ষ কর্তাদের মুখে কুলুপ, ঠিক তখনই সাইরাসের শেষকৃত্যে সিমোনের উপস্থিতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত রবিবার পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাসের। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পারসি পরিবারটির হাতে গোনা কিছু সদস্য, দেশের কয়েকজন শিল্পপতি এবং দু’একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ছিলেন অনিল অম্বানি, সুপ্রিয়া সুলে, মিলিন্ড দেওড়ার মতো ব্যক্তিত্বেরা। যদিও মিস্ত্রী পরিবারের তরফে কাগজে একটি নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেউ যেন শোক জানাতে না আসেন।