অপরাধ ধর্ষণ। শাস্তি মাত্র পাঁচটা চড়! অবাস্তব শোনালেও এমনটাই ঘটেছে রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামে।
গত ১৭ ডিসেম্বর নিজের ছোট্ট সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে বেড়িয়েছিলেন হাপুর জেলার তোদরপুর গ্রামের বছর ২৭-এর এক গৃহবধু। ফেরার পথে ওই গ্রামেরই দুই বাসিন্দা তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গ্রাম থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে একটি জনশূন্য মাঠে টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগ সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে দুই দুষ্কৃতী। সাহায্যের জন্য বারবার চিত্কার করলেও ওই অঞ্চল এতটাই জনবিরল ছিল, সেই আর্তি কারও কানে পৌঁছয়নি। যৌন নির্যাতন করে চম্পট দেয় অভিযুক্ত দু’জন।
‘‘ওরা আমার মুখ চেপে ধরছিল, যাতে আমি সাহায্যের জন্য চেঁচাতে না পারি’’— জানিয়েছেন নিগৃহীতা। ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার পর গ্রাম পঞ্চায়েত একটি সালিশি সভার ডাক দেয়। অভিযুক্ত রিজওয়ান আহমেদ এবং ওয়াহাবকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় মাতব্বররা। অভিযুক্তরা জানায় তাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। নিগৃহীতা মহিলাও জানান কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ তিনি চান না। তিনি দুজনের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। এরপরেই ওই দুজনকে পাঁচটা করে চড় মেরে ছেড়ে দেওয়ার নিদান দেয় সালিশি সভা। মুক্তি পেয়ে এরপরেই সপরিবারে গ্রাম থেকে চম্পট দেয় ওই দুই অভিযুক্ত।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। গত ২৫ ডিসেম্বর অবশেষে এফআইআর নেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের হদিশ পাওয়া যায়নি।