আমলার নিয়োগে বদলের প্রস্তাব

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করার পরে শিক্ষানবিশ আমলাদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ (ফাউন্ডেশন কোর্স) নিতে হয়। তা শেষ হওয়ার আগেই মেধা তালিকার ভিত্তিতে ঠিক হয়ে যায় ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস বা ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের মতো কোন শাখায় কে যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ০৩:৩৯
Share:

রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নষ্ট করা।

সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন নিয়ে সরকারের প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করল কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নষ্ট করা।

Advertisement

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করার পরে শিক্ষানবিশ আমলাদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ (ফাউন্ডেশন কোর্স) নিতে হয়। তা শেষ হওয়ার আগেই মেধা তালিকার ভিত্তিতে ঠিক হয়ে যায় ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস বা ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের মতো কোন শাখায় কে যাবেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে এই প্রক্রিয়ায় বদল আনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কর্মিবর্গ দফতরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরে ঠিক করা হোক কাকে কোন শাখায় পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: সংখ্যা কমছে, তাই কৈরানায় জিততে মরিয়া বিজেপি

Advertisement

সুরজেওয়ালা আজ এ নিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘‘মোদী শব্দের অর্থ করা যায় মেন অবজেকটিভ টু ডেস্ট্রয় ইনস্টিটিউশনস। সরকারের এই প্রস্তাব মানলে প্রশাসন ইচ্ছেমতো মেধা তালিকা বদলাতে পারবে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের বিষয়টিই মিথ্যে হয়ে যাবে।’’ কংগ্রেসের বক্তব্য, বোঝাই যাচ্ছে সরকার গোড়া থেকেই আমলাদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। প্রশিক্ষণের সময়ে আমলাদের মন বুঝে তাঁদের বিভিন্ন শাখায় পাঠানো হবে। এতে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করা সহজ হবে। প্রাক্তন আমলা জহর সরকারের মতে, এই প্রস্তাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাতে প্রশিক্ষণের সময়ে শিক্ষানবিশেরা খোলামেলা প্রশ্নই করবেন না। তাঁরা আশঙ্কায় থাকবেন, এমন প্রশ্ন করলে পরে উপযুক্ত পদে নিয়োগ না-ও মিলতে পারে। মোদী জমানায় ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) বাড়া নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করেন সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, ‘‘এনডিএ-র নাম বদলে এনপিএ রাখা উচিত। মোদী জমানায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৩১৭ শতাংশ বেড়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement