অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে ‘মুর্খ এবং দেউলিয়া’ বিজ্ঞান বলে বলেছিলেন রামদেব। ফাইল চিত্র ।
অ্যালোপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য যোগগুরু রামদেবের সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, রামদেব আয়ুর্বেদশাস্ত্র জনপ্রিয় করার জন্য প্রচার চালাতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য তাঁর অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়।
শুনানি চলাকালীন, প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘রামদেব কেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন? তিনি যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করেছেন। সেটা খুব ভাল কথা। কিন্তু তার জন্য তাঁর অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়। তিনি যা মেনে চলেন তা মেনে চললেই সবাই সব রোগ থেকে সুস্থ হয়ে যাবেন তার নিশ্চয়তা কী?’’
কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনে রামদেবের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)’। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি রমণা। আইএমএ-র আবেদনে কেন্দ্রের কী মত, সেই জবাব চেয়েও নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য দিল্লি হাই কোর্টও রামদেবকে সতর্ক করেছিল।
প্রসঙ্গত, অতিমারি আবহে রামদেব দাবি করেছিলেন, তাঁর সংস্থার তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে পুরোপুরি ভাবে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। একই সঙ্গে একটি ভিডিয়োতে তিনি কোভিডের টিকা এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি আরও দাবি করেন, করোনার দু’টি টিকা নেওয়ার পরে ভারতে বেশ কয়েক জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। এমনকি, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে ‘মুর্খ এবং দেউলিয়া’ বিজ্ঞান বলেও মন্তব্য করেছিলেন যোগগুরু। এর পরই রামদেবের বিরুদ্ধে সরব হয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি।