সাংবাদিক খুনে মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রাম রহিমই। ফাইল চিত্র।
২০০২ সালে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুনের ঘটনায় স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করল হরিয়ানার বিশেষ সিবিআই আদালত। ডেরা সাচ্চা সওদা প্রধান রাম রহিম ছাড়াও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তার আরও তিন সহযোগীকে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এর আগে দুই সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন রাম রহিম। সেই ঘটনার শাস্তিস্বরূপ এখন ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। তাঁকে রাখা হয়েছে রোহতক জেলে। সন্ন্যাসিনীদের ধর্ষণের পাশাপাশি এখন সাংবাদিক খুনের ঘটনাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হল গুরমিত রাম রহিমকে।
২০০২ সালের অক্টোবর মাসে নিজের বাড়ির সামনেই গুলি করা হয়েছিল সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে। ‘পুরা সচ’ নামের একটি সংবাদপত্রের মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন তিনি। হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সাচ্চা সওদার সদর দফতরে কীভাবে মহিলা ভক্তদের উপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়, সেই ঘটনা ফাঁস করেছিলেন তিনি। এর পরেই খুন করা হয় ওই সাংবাদিককে। ২০০৩ সালে শুরু হয় খুনের তদন্ত। ২০০৬ সালে এই তদন্তের দায়ভার নেয় সিবিআই। এই খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন রাম রহিম ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরাই।
আরও পড়ুন: অপসারণের পরই চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন অলোক বর্মা
হরিয়ানার পঞ্চকুলায় সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘‘ রাম রহিম সহ মোট চার অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।’’ রাম রহিমকেই এই খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে আদালত। দোষী সাব্যস্ত রাম রহিমের অন্য তিন সঙ্গী হলেন কুলদীপ সিংহ, নির্মল সিংহ এবং কৃষাণ লাল।
আরও পড়ুন: বাঘের চোখে চোখ রেখে দেড় ঘন্টা, কুর্নিশ এই মহিলার স্নায়ুকে!
এই রায়দানের আগে হরিয়ানা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। কারণ, ২০১৭ সালে সন্ন্যাসিনীদের ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় নজিরবিহীন হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল পঞ্চকুলা এবং সিরসায়। সেই ঘটনায় সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন সাধারণ মানুষের। আহতের সংখ্যা ছিল দু’শোরও বেশি।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)