অরুণ যোগীরাজ। — ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে শোভা পাচ্ছে তাঁরই হাতে ‘তৈরি’ পাঁচ বছরের রামের মূর্তি। কর্নাটকের সেই ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ বুধবার রাতে রামের ‘জন্মভূমি’ ছেড়ে নিজের বাড়ি ফিরলেন। প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে রাতের বেলাতেই বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ভিড় উপচে পড়েছিল।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে ৯টা। কর্নাটকের কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরের বাইরে তখন লোকে লোকারণ্য। কিছু উৎসুক জনতা বিমানবন্দরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘‘কোন তারকা আসছেন?’’ জানানো হয়, ‘‘রামলালার ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ।’’ এ ভাবেই সেই ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে।
সেই ভিড়ের মধ্যে যেমন ছিলেন বিজেপি সমর্থক, তেমনই ছিলেন সাধারণ মানুষ এবং যোগীরাজের ভক্তও। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁর বিমান অবতরণ করে বিমানবন্দরে। কেন্দ্রীয় জওয়ানের নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আবদ্ধ হয়ে বিমানবন্দরের বাইরে আসেন অরুণ। তাঁকে বের হতে দেখেই অপেক্ষারত জনতার মধ্যে বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে।
বিমানবন্দরে বাইরে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাদের। সেই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন অরুণের স্ত্রী বিজেতা এবং সন্তান-সহ গোটা পরিবার। অরুণকে হাতের কাছে পেয়ে অনেকেই তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে এগিয়ে আসেন। ভেঙে যায় পুলিশি ব্যারিকেডও। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। যদিও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।
অধোয্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তি বসবে তা নিয়ে চর্চা চলছিল অনেক দিন থেকেই। শেষ পর্যন্ত তিনটি মূর্তিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য বাছা হয়। বাছাই পর্ব শেষে শিশু রামের একটি মূর্তিকে চূড়ান্ত করা হয়। কষ্টিপাথরের তৈরি সেই ভাস্কর্যই রয়েছে রামমন্দিরে।
এই রামলালার মূর্তির ‘ফার্স্ট লুক’ সামনে আসার পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে চলে আসেন অরুণ যোগীরাজ। গত সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণও।