নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে স্কুলপড়ুয়াদের কুচকাওয়াজ। সোমবার শিলচরে। ছবি: স্বপন রায়
কচিকাঁচাদের নিয়ে দিনভর নেতাজি জয়ন্তী উদযাপন করল শিলচরের কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী উদযাপন কমিটি। আজ সকালে নরসিংটোলা ময়দানে সমবেত হয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। ৪৫টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী তাতে অংশ নেয়। ছিল ২টি ট্যাবলো। একটিতে শিলচর অখণ্ডমণ্ডলী সেবাদল যোগাসন প্রদর্শন করে।
রাঙ্গিরখাড়িতে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শোভাযাত্রা শেষ হয় ইন্ডিয়া ক্লাবের মাঠে। সেখানেই ছিল মূল অনুষ্ঠান। পতাকা উত্তোলন করেন নেতাজি গবেষক তপন চট্টোপাধ্যায়। পরে হয় প্রতিযোগিতামূলক মার্চ পাস্ট। ৪৫টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী ইউনিফর্ম পরে তাতে অংশ নেয়। তপনবাবু ছাড়াও তাঁদের অভিবাদন গ্রহণ করেন কমিটির সভাপতি বিভাস দেব, কার্যবাহী সভাপতি নীহাররঞ্জন পাল ও সম্পাদক সন্তোষকুমার দে। হয় নৃত্যানুষ্ঠানও। মধ্যশহর সাংস্কৃতিক সমিতি, রোটারি ক্লাব ও ছন্দে ছন্দে নৃত্য অ্যাকাডেমির শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ব্যান্ড বাদন দর্শকদের নজর কাড়ে।
মার্চপাস্ট জুনিয়র গার্লস বিভাগে প্রথম তিন স্থানাধিকারী নেতাজি বিদ্যাভবন, বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং ডিএনএনকে। সিনিয়র গার্লস বিভাগে হলিক্রশ স্কুল, বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং সেন্ট ক্যাপিটানিও। জুনিয়র বয়েজ বিভাগে বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নিউ অক্সফোর্ড স্কুল, বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়-বড়জালেঙ্গা। সিনিয়র বয়েজ বিভাগে প্রথম তিন স্কুল সেন্ট ক্যাপিটানিও, হলিক্রশ স্কুল ও মহর্ষি বিদ্যামন্দির। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালন করল ডিমা হাসাও-ও। হাফলং, মাহুর ও লাংটিংয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হয়। হাফলংয়ে ‘নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপন সমিতির’ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক ভবন থেকে নেতাজির প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। শহর ঘুরে তা ফের পৌঁছয় সাংস্কৃতিক ভবনে। ওই শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থামে। সেখানে পথসভা করা হয়। হাফলং সাংস্কৃতিক ভবন প্রাঙ্গনে নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। মাহুরেও বের হয় শোভাযাত্রা। মাহুর খেলার মাঠে আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন শহরের প্রবীণ নাগরিক রঞ্জিৎ পাল। নেতাজির জন্মলগ্নে আতসবাজি ফাটানো হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিনটি পালিত হয় লাংটিংয়েও। করিমগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা মিছিল বের করে। সব শোভাযাত্রাই পৌঁছয় শহরের পেট্রলপাম্প এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের তরফে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। বিভিন্ন স্কুল, ক্লাবে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন-কাহিনি নিয়ে বসে আলোচনাসভা। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। জন্মজয়ন্তীতে নেতাজির হাইলাকান্দি আগমনের ইতিহাস উঠে এল আলোচনায়। নেতাজি জন্মশতবর্ষ উদযাপন সমিতির উদ্যোগে গ্রাহাম মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ে এক আলোচনাসভায় সে কথা শোনা যায়।