যোগী আদিত্যনাথ এবং অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
চণ্ডীগড় পুরসভার পরে এ বার উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভা নির্বাচনে শক্তিপরীক্ষা ‘ইন্ডিয়া’র। মঙ্গলবার রাজ্যসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি নির্বাচন হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকেও।
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। উত্তরপ্রদেশের ১০ জন ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তীসগঢ়ের এক, গুজরাতের চার, রাজস্থানের তিন, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওড়িশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে প্রার্থী দিলেও ভোট হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে।
উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার ১০টি আসনে নির্বাচন হবে মঙ্গলে। সংখ্যার হিসাবে সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) শিবিরের তিন প্রার্থীর জয় চলতি মাসের গোড়া পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় লোক দলের এনডিএ-তে যোগদান এবং দু’জন এসপি বিধায়কের প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণার পরে চিত্র পাল্টেছে। বিজেপি প্রথমে সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিরোধী শিবিরের হালচাল দেখে অষ্টম আসনেও প্রার্থী দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অখিলেশের উপর চাপ বাড়িয়ে ‘বাহুবলী’ বিধায়ক রাজা ভাইয়া এবং তাঁর সঙ্গী এক বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।
প্রসঙ্গত, বতর্মানে ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় চারটি আসন খালি। ভোট দেবেন ৩৯৯ জন বিধায়ক। রাজ্যসভায় এক জন প্রার্থীকে জিততে পেতে হবে ৩৭টি ভোট। আট প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির প্রয়োজন ২৯৬টি ভোট। তাঁদের পক্ষে রয়েছে ২৮৬টি ভোট (বিজেপি: ২৫২, আপনা দল: ১৩, নিষাদ দল: ৬, এসবিএসপি: ৬, আরএলডি: ৯)। সব মিলিয়ে ১০টি ভোট কম রয়েছে বিজেপির। এ ছাড়া বাহুবলী রাজা ভাইয়ার দলের দুই বিধায়কের সমর্থন পাওয়া নিশ্চিত তাদের। এসপি-র দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে অষ্টম প্রার্থীকে জেতাতে ছ’টি ভোট কম রয়েছে বিজেপির।
অন্য দিকে, নিজেদের তিন প্রার্থীকে জেতাতে অখিলেশ যাদবের দলের প্রয়োজন প্রয়োজন ১১১টি ভোট। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। কিন্তু তার মধ্যে দু’জন জেলবন্দি। এসপির পক্ষে কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ও নির্দলের দু’জন প্রার্থী। ফলে তিন প্রার্থীর জেতা নিশ্চিত ছিল এসপি-র। কিন্তু দলের দুই বিধায়ক বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নির্দলের মধ্যে এক জন এসপি-কে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে চাপে রয়েছেন অখিলেশ। অন্য দিকে, কর্নাটকে পরিষদীয় পাটিগণিত অনুযায়ী চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছে পদ্মশিবির। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের একটি আসনেও ক্রস ভোটিংয়ের আশায় প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।