(বাঁ দিক থেকে) আপের রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টির (আপ) রাজ্যসভার অন্তর্বর্তিকালীন নেতা হিসাবে রাঘব চড্ডাকে নিয়োগ করলেন না জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার আপের প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
দিল্লি আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন আপের রাজ্যসভার নেতা সঞ্জয় সিংহ। তাঁর অনুপস্থিতে সংসদের উচ্চ কক্ষে তাঁদের অন্তর্বর্তী নেতা হিসাবে চড্ডার নাম প্রস্তাব করেছিল আপ। এ নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর ধনখড়কে চিঠি লেখেন কেজরী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ধনখড়। এই প্রত্যাখ্যানের কারণ কী? রাজ্যসভার সচিবালয়ের সূত্র জানিয়েছে, সংসদ (সুবিধা) আইন, ১৯৯৮ অনুযায়ী রাজ্যসভায় কোনও অন্তর্বর্তিকালীন নেতা নিয়োগের বিধান নেই। কেজরীর চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় জানান, আইনের সঙ্গে এই আবেদন সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায়, তা বাতিল করা হচ্ছে।
যে আইনে ধনখড় চড্ডাকে আপের অন্তর্বর্তী নেতার মান্যতা দেননি, সেটি সংসদে স্বীকৃত দল অথবা গোষ্ঠীর নেতা এবং চিফ হুইপদের সুবিধা প্রদানের অংশ। ওই আইন অনুযায়ী, রাজ্যসভায় যে দলের সদস্য সংখ্যা ১৫-এর কম হবে না এবং ২৪ জনের বেশি হবে না, তাকে বলা হয় ‘স্বীকৃত গোষ্ঠী’। লোকসভার ক্ষেত্রে এই অনুপাত কমপক্ষে ৩০ এবং সর্বোচ্চ ৫৪ জন। সেই আইন বলে কোনও ‘স্বীকৃত গোষ্ঠী’ বা স্বীকৃত দলের প্রত্যেক নেতা এবং চিফ হুইপ টেলিফোন এবং সচিবালয়ের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। এখন আবেদন বাতিল নিয়ে আপের বক্তব্য, এ ব্যাপারে রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে তাদের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ধনখড় ওই আবেদন গ্রাহ্য না করায় জেলবন্দি সঞ্জয়ই আপের রাজ্যসভার নেতা হয়ে রইলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে শাস্তি পেতে হয় রাজ্যসভার আপ সাংসদ চড্ডাকে। তাঁর বিরুদ্ধে সই জালিয়াতির অভিযোগ আনেন রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদ। একটি বিল সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য চাড্ডা পাঁচ সাংসদের সই নকল করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে চড্ডার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ১১ অগস্ট সাসপেন্ড হয়েছিলেন চড্ডা।