ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
অক্টোবরের ১৪ তারিখে ইসলামাবাদে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর সরকারি প্রধানদের বৈঠক। সেখানে যোগ দেবে ভারত, কিন্তু বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি যাবে কিনা, তা নিয়ে চলছে অভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক হিসেব।
এরই মধ্যে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কে নরমে-গরমে সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে গত শনিবার রাতে (ভারতীয় সময়ে) প্রবল চাপানউতোর দেখা গেল দু’দেশের মধ্যে। এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের ভোট প্রচারের শেষ দিনে গত কাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কিছুটা অন্য সুরেই জানালেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখলে আইএমএফের থেকেও ভাল আর্থিক প্যাকেজ দিল্লি দিতে পারত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানি বন্ধুদের বলতে চাই, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করছেন কেন? আমরা তো প্রতিবেশী। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল থাকলে আইএমএফের থেকে অনেক বেশি টাকা আমরা আপনাদের দিতে পারতাম।’’
প্রসঙ্গত আর্থিক সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত পাকিস্তান আইএমএফের থেকে অর্থসাহায্য চেয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সেই অসহায়তাকে তুলে ধরে রাজনাথের বার্তা, ‘‘মোদীজি ২০১৪-১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য একটি স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, সেটা এখন ৯০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। পাকিস্তান আইএমএফের থেকে যে অর্থ সাহায্য চাইছে, এই পরিমাণ তার থেকে অনেক বেশি।’’ এর পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে রাজনাথের আক্ষেপ, ‘‘আমরা বন্ধু বদল করতে পারি, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারি না।’’
আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্য সন্ত্রাসে মদত দিতে ব্যবহার করছে পাকিস্তান, এমন অভিযোগও তুলেছেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘যখনই জঙ্গি হামলার তদন্ত হয়, পাকিস্তানের যোগসূত্র খুঁজে পাই। আসলে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর পাকিস্তান দিশাহারা, ওরা সন্ত্রাসকে জিইয়ে রাখার সব রকম চেষ্টা করছে। জম্মু-কাশ্মীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে চায় না। কিন্তু ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী। পাকিস্তান থেকে কেউ এসে ভারতে হামলা চালালে সীমান্ত পেরিয়ে জবাব দিয়ে আসতে পারি।’’