বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। —ফাইল ছবি
ট্রোলিং বিতর্কে এবার সুষমা স্বরাজের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পুরো বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন রাজনাথ। বিরোধী শিবিরেও কেজরীবাল, মেহবুবা মুফতির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাশে দাঁড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রীর। স্বাভাবিকভাবেই গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাসপোর্ট বিতর্কে ট্রোলড হওয়ার পর সুষমা কিছুটা স্বস্তি পেলেন।
স্বামী স্বরাজ কৌশল আগাগোড়াই তাঁর হয়ে লড়ছেন। কিন্তু সেটা ছিল পারিবারিক। এবার রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ভাবেও কিছুটা স্বস্তি পেলেন গত কয়েকদিন ধরে ট্রোলিং-এর শিকার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সোমবারই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজনাথ বলেন, ‘‘এই ধরনের আক্রমণ পুরোপুরি অনৈতিক।’’
এদিনই সুষমার পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যে ভাষায় বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে, তার নিন্দা করে মমতা টুইটারে লিখেছেন, ‘সুষমা স্বরাজ একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। সকলকে সম্মান করা উচিত এবং কদর্য ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।’ আর এঁদের আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং জম্মু কাশ্মীরের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মতো বিরোধীরাও সুষমার পাশে দাঁড়িয়ে এই ধরনের ভাষা ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগে গায়ক অঙ্কিতের বাবাকে জুতোপেটা কাম্বলির স্ত্রীর
সূত্রপাত মুসলিম দম্পতির পাসপোর্ট নিয়ে হেনস্থা এবং রাতারাতি বিদেশ মন্ত্রকের নির্দেশে পাসপোর্ট দেওয়া নিয়ে। ওই ঘটনার পর থেকেই মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলে কদর্য ভাষায় সুষমাকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন গেরুয়া ব্রিগেডের কট্টরপন্থীরা। টুইটারে রীতিমতো ব্যক্তিগত স্তরে অশোভন ভাষায় আক্রমণ করে ট্রোল করা হয় তাঁকে। এমনকি, বাড়িতে পেটানোর কথাও বলা হয়।
আরও পড়ুন: হোয়াটস্অ্যাপের গুজবেই বিপদ, ছেলেধরা সন্দেহে মার চেন্নাইয়ে
কিন্তু এতদিন পর্যন্ত তা নিয়ে বিজেপি বা সঙ্ঘ নেতাদের কেউ মুখ খোলেননি। তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল। সুষমা স্বরাজও কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন। একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে সোমবার রাজনাথ সিংহ তাঁর পাশে দাঁড়ানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বিজেপির পাঁচ বারের সাংসদ।
এদিকে রবিবারও এই নিয়ে সুষমা একটি টুইট করেন। আফগানিস্তানের জালালাবাদে জঙ্গি হানায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর আগের টুইটেই বিদেশমন্ত্রী লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। সমালোচনা করুন, কিন্তু আপত্তিকর ভাষায় নয়। সভ্য ভাষায় সমালোচনা আরও বেশি কার্যকরী।’
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও আইনি পথে যাননি সুষমা। কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।