রাজনীতিতে রজনীর অভিষেকে তিনি খুবই খুশি করুণানিধি।
তামিল রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? ডিএমকে নেতা এম করুণানিধির সঙ্গে রজনীকান্তের সাক্ষাতের পর জল্পনায় রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহল। যদিও একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই জানিয়েছেন রজনী স্বয়ং।
সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের পর এই প্রথম কোন রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করলেন তামিল মেগাস্টার। দেশের অন্যতম প্রবীণ নেতা ৯৩ বছরের করুণানিধির সঙ্গে দেখা করার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়িতে যান রজনী। গোপালাপুরমের বাড়িতে তাঁকে স্বাগত জানান করুণানিধির ছেলে তথা ডিএমকে-র কার্যকরী সভাপতি এম কে স্ট্যালিন। করুণানিধির সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ একান্তে কথা বলেন রজনী।
ফেরার পথে নয়া জোটের জল্পনা নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও রজনী জানিয়েছেন, করুণানিধির আশীর্বাদ নিতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। রজনী বলেন, “করুণানিধিকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমি উদ্বুদ্ধ।” করুণানিধিও জানিয়েছেন, রাজনীতিতে রজনীর অভিষেকে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুন
জিগ্নেশ-উমরের বিরুদ্ধে এফআইআর, মুম্বইয়ের অনুষ্ঠান বাতিল পুলিশের
অসমে মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর, গ্রেফতারির দাবি
সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের পর এই প্রথম কোন রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করলেন তামিল মেগাস্টার রজনী। ছবি: পিটিআই।
করুণানিধির সঙ্গে রজনীর সম্পর্ক অবশ্য নতুন নয়। ১৯৯৬-এ তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের জয়ললিতাকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভক্তদের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন রজনী। কাকতালীয় ভাবে, সে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে-র। ক্ষমতায় আসে ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। যদিও পরে সেই পদক্ষেপকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছিলেন রজনী। তাতে অবশ্য ডিএমকে-র সঙ্গে রজনীর ঘনিষ্ঠতা কমেনি। গত বছরের অগস্টেই রজনীকে দেখা গিয়েছে, ডিএমকে-র মুখপত্র ‘মুরাসলি’-র ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক শেষমেশ রাজনৈতিক সমীকরণে পরিণত হয় কি না তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে তামিল রাজনীতি।