পাক প্রেমিকের সঙ্গে অঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের টানে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। ফেসবুকে আলাপ হওয়া প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছিলেন নিজের ঘর ছেড়ে। কিন্তু বেশি দিন থাকতে পারলেন না। রাজস্থানের অঞ্জুকে ঘরে ফিরতে হল আবার। যদিও তিনি এখন আর অঞ্জু নেই। নাম এবং ধর্ম বদলে হয়েছেন ফতিমা। দেশে ফিরলেও আবার পাকিস্তানেই যাবেন বলে জানিয়েছেন।
অঞ্জু ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢুকেছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঢুকতে দেওয়ার আগে একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁর কাছ থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। অঞ্জু জানিয়েছেন, কয়েকটি কাজ সেরে নিতে দেশে ফিরেছেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম বর্তমান স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ।
বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে চলে যেতে চান অঞ্জু। এ বিষয়ে রাজস্থানে তাঁর স্বামী অরবিন্দের সঙ্গে কথা বলা হলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, অঞ্জু যে দেশে ফিরেছেন, তা তিনি জানেন না। অঞ্জুকে নিয়ে কথা বলতেও তিনি আগ্রহী নন বলে জানান।
দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে অঞ্জুও সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, তাঁর জীবন নিয়ে কোনও কথা এই মুহূর্তে তিনি বলতে ইচ্ছুক নন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে প্রেমিক নাসরুল্লাকে বিয়ে করেছেন অঞ্জু ওরফে ফতিমা। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে পাকিস্তানে দ্বিতীয় বিয়ে সংক্রান্ত কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি।
পাকিস্তানের নাগরিক সীমা হায়দরের ভারতে অবৈধ ভাবে ঢোকার পর গোটা দেশে যখন হইহই চলছে, ঠিক সেই সময়েই দেশ ছেড়ে প্রেমিকের টানে পাকিস্তানে চলে গিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বছর চৌত্রিশের গৃহবধূ অঞ্জু। রাজস্থানের ভিওয়াড়ি জেলায় থাকতেন তিনি। অঞ্জুর দুই সন্তানও রয়েছে। গত ২৩ জুলাই বাড়ির কাউকে না জানিয়েই পাকিস্তানে পাড়ি দেন তিনি।