রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় পেহলু খানকে। —ফাইল চিত্র।
পেহলু খান হত্যা মামলায় এ বার খতিয়ে দেখা হবে পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়া। শুক্রবার বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল রাজস্থান সরকার। তদন্তে কোথাও কোনও অসঙ্গতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্র বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হবে।
উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বুধবার অলওয়র জেলা আদালত পেহলু খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছ’জনকেই বেকসুর খালাস করে দেয়। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।
এর আগে আদালতের রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও অভিযুক্তরা কী ভাবে মুক্তি পেয়ে গেল, তা নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা লেখেন, ‘পেহলু খান হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে হতবাক আমি। খুনের মতো জঘন্য অপরাধ আর হয় না। এই ধরনের বর্বরতার জায়গা নেই এ দেশে।’’ তার পরই এ দিন পুলিশি তদন্ত কী ভাবে এগিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান অশোক গহলৌত।
আরও পড়ুন: নমাজ পড়লেই কি জায়গা ছেড়ে দিতে হবে? অযোধ্যা মামলায় তর্ক সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর ভাগের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে বিদ্রুপ’, একজোট ২০০ বিদ্বজ্জন
২০১৭-র ১ এপ্রিল পশুমেলা থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় বাড়িতে ফিরছিলেন পেহলু খান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ছেলেও। জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের রাস্তা আটকায় স্বঘোষিত গোরক্ষকেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। তার তিন দিন পরে হাসপাতালে মারা যান পেহলু। সেই থেকে অলওয়র জেলা আদালতে মামলা চলছিল ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে বুধবার তাদের সকলকেই মু্ক্তি দেয় আদালত।