কমছে বৃষ্টি, ছন্দে ফিরছে মুম্বই

কাল অতিবৃষ্টির জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মুম্বই ও তার আশপাশের শহরতলি। আজ সকালে ঝিরঝির বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে পরিষ্কার হতে থাকে মুম্বইয়ের আকাশ। অল্প হলেও কিছু লাইনে চলতে শুরু করে ট্রেন। রাস্তায় জল কমতে থাকায় গতি পায় ট্র্যাফিকও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৪৪
Share:

জল থই থই। ছবি: পিটিআই।

খুব ধীরে হলেও আজ সকাল থেকে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দেশের বাণিজ্যনগরী।

Advertisement

কাল অতিবৃষ্টির জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মুম্বই ও তার আশপাশের শহরতলি। আজ সকালে ঝিরঝির বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে পরিষ্কার হতে থাকে মুম্বইয়ের আকাশ। অল্প হলেও কিছু লাইনে চলতে শুরু করে ট্রেন। রাস্তায় জল কমতে থাকায় গতি পায় ট্র্যাফিকও।

আজ সকাল এগারোটার পরে ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে প্রথমে। বিকেলের দিকে সেন্ট্রাল আর হারবার লাইনেও শুরু হয় রেল চলাচাল। তবে সব লাইন থেকে জল এখনও সরেনি। রেলওয়ের তরফ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্যের চেষ্টা চলছে। রেল মন্ত্রকের তরফে টুইটারে আরও জানানো হয়, বেশ কিছু জায়গায় অতিরিক্ত পাম্পের মাধ্যমে জল বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লোকাল ট্রেনগুলি চলছে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে। দূরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেন বাতিলও করতে হয়েছে আজ। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আজ বাতিল করা হয়েছে মোট ১৬টি ট্রেন। আগামী কাল আর পরশুও বেশ কয়েকটি ট্রেন মুম্বই থেকে ছাড়বে না।

Advertisement

ট্রেন স্বাভাবিক হলেও স্বাভাবিক হয়নি উড়ান পরিষেবা। কাল বৃষ্টি আর ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে দেরিতে হলেও মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে পেরেছিল বেশির ভাগ উড়ানই। কিন্তু আজ কর্মী সঙ্কটের কারণে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে উড়ান বাতিল করতে হয়েছে।

মুম্বই ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। কালই ঠাণেতে বা়ড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। আজ মৃতের সংখ্যাটা বেড়েছে। কোঙ্কন উপকূলের পালগড় জেলায় পৃথক ঘটনায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন চার জন। তালিকায় রয়েছে একটি তিন বছরের শিশুও। পুলিশ জানিয়েছে, বন্যা সংক্রান্ত ঘটনায় ১২ জন নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা পাঁচ। মুম্বইয়ের এক চিকিৎসকেরও খোঁজ মিলছে না কাল থেকে। দীপক অম্রপুরকর নামে ওই চিকিৎসক বম্বে হাসপাতাল থেকে কাল বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় অতিরিক্ত জল থাকায় গাড়ি চালককে তিনি মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিতে বলেন। এলফিনস্টোন রোডে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সম্ভবত একটি ম্যানহোলে পড়ে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। মিলেছে তাঁর ছাতাটিও। পুলিশ জানিয়েছে, বিএমসি কর্মীরা তল্লাশি চালালেও রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ওই চিকিৎসকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement