রাহুল গান্ধী (বাঁ দিকে) এবং উদ্ধব ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির পর এ বার মহারাষ্ট্রে জোটের জট কাটাতে উদ্যোগী হলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা তথা বালাসাহেব-পুত্র উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাহুলের। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়।
মহারাষ্ট্রেও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে একাধিক জট রয়েছে। তবে বিরোধী জোটের একটি সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০টিতে কোনও সমস্যা নেই। সেগুলিতে পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। তবে জোটের পথে আপাতত প্রধান বাধা আটটি আসন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ছ’টি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় কংগ্রেস। সেই আসনগুলি হল মুম্বই দক্ষিণ-মধ্য, মুম্বই উত্তর-মধ্য এবং মুম্বই উত্তর-পশ্চিম। বাকি তিনটি আসনে লড়াই করতে চান উদ্ধবেরা। সেই আসনগুলি হল মুম্বই দক্ষিণ, মুম্বই উত্তর-পশ্চিম এবং মুম্বই উত্তর-পূর্ব।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল এবং উদ্ধবের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। মূলত নিজেদের শর্ত অক্ষুণ্ণ রেখেই জোটের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা সেরে ফেলেছেন দুই নেতা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে সাবেক অবিভক্ত শিবসেনা। রাজনৈতিক এবং আদর্শগত মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে জোট বাঁধে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি। তৈরি হয় বিরোধী জোট মহা বিকাশ অঘাড়ি বা এমভিএ। কিন্তু পরে শিবসেনা এবং এনসিপি দুই দলেই ভাঙন ধরে। শিবসেনা ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান শরদের ভাইপো অজিত পওয়ারও।
বহু টালবাহানার পর লোকসভা ভোটে পরস্পরের হাত ধরার কথা জানিয়েছে অখিলেশ সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং কংগ্রেস। রফা-সূত্র অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টিতে লড়বে কংগ্রেস। বাকি আসনে লড়বেন এসপি-র প্রার্থীরা। অন্য দিকে, পাশের রাজ্য মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের সমর্থনে অখিলেশের দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অন্য দিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রস্তাব মোতাবেক, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার ‘বার্তা’ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জানুয়ারিতে কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। সূত্রের খবর আপের তরফে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে একটি বা দু’টি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল।