রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভার অধিবেশন শেষ হতেই রাহুল গান্ধী এ বার জনসংযোগের কাজে নামলেন। আজ সকালে দিল্লির জিটিবি নগরে গিয়ে দিনমজুরদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। রাস্তার ধারে ফুটপাতে বসে তাঁদের কথা শুনেছেন। রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কখনও কুর্নি হাতে, কখনও কোদাল হাতে তাঁদের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন। রাহুল পরে বলেন, “যাঁরা হাত লাগিয়ে পরিশ্রমের কাজ করেন, আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিতে চাই। আমি সংসদে অভয়মুদ্রার কথা বলেছিলাম। দেশের সব থেকে বেশি মানুষ হাতের কাজ করেন। সব থেকে পরিশ্রমের কাজ করেন। কিন্তু কিছুই পান না।” রাহুল এর আগেও বিভিন্ন সময়ে গাড়ি-সারাই কর্মী, কাঠের মিস্ত্রি, ট্রাক চালক, আনাজ বিক্রেতা, মালবাহকদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামিকাল, শুক্রবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল হাথরসে যাচ্ছেন। হাথরসে সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগামিকাল সকালে মৃতদের পরিজনের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল। সপ্তাহান্তে আমদাবাদে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে বিতর্কে রাহুল বিজেপি নেতাদের দিকে দেখিয়ে বলেছিলেন, যাঁরা নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করে, সেই বিজেপি সারাদিন হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে বেড়ায়। এর পরে বিজেপি ও বজরং দল আমদাবাদে কংগ্রেস দফতরে হামলা চালায়। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। তার পরেই গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা রাহুলকে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করেন। প্রসঙ্গত, রাহুল লোকসভায় দাঁড়িয়ে গুজরাতে বিজেপিকে হারানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়েছিলেন। আজ রাহুল যুব কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, অন্য বিরোধী দলের যুব সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছাত্র, বেকারদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।