অনশনের পাল্টা অনশন।
গত কয়েকদিন ধরেই দলিত-মন্ত্র জপ করছেন নরেন্দ্র মোদী। আজ সকালে তা ভোঁতা করতে আসরে নামেন রাহুল গাঁধী। টুইট করেন, ‘‘মোদীজি, আপনি যে দমনকারী বিচারধারার অনুসারী, তাতে দলিত ও বাবাসাহেবের সম্মান কখনও করতে পারবেন না।’’ এর পরেই দেশের নানা প্রান্তে অম্বেডকরের মূর্তি ভাঙার ছবি দিয়ে তাঁর প্রতি বিজেপি-আরএসএসের ‘সম্মান’ দেখানোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি দলিতদের ‘ভারত-বন্ধ’-এ হিংসা রুখতে বিজেপি ব্যর্থ হওয়ায় ৯ এপ্রিল দেশ জুড়ে অনশনের ডাক দেন রাহুল। কংগ্রেস চায় ওই দিন তিনি রাজঘাটে অনশনে বসুন।
পাল্টা আসরে নামতে দেরি করেননি মোদী। তিনিও ১২ এপ্রিল অনশনের ডাক দিয়েছেন। কংগ্রেসের নেতিবাচক রাজনীতি এবং সংসদ অচল করে তার মর্যাদাহানির প্রতিবাদে। শুধু তা-ই নয়, মোদীর নির্দেশে আজ বাজেট অধিবেশন শেষের পর বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদরা সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। সংসদে শাসক দলের এমন আচরণ বিরল। মোদী বলেন, বিজেপি এক জন দলিতকে রাষ্ট্রপতি করল, সংসদে-বিধানসভায় এত জন দলিত প্রতিনিধি নিয়ে এল— এটা কংগ্রেস হজম করতে পারছে না। তাই তারা কুৎসা রটাচ্ছে।
দলের সাংসদদের মোদীর নির্দেশ, ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেবের জন্মদিন থেকে এক মাস ধরে গোটা দেশে কর্মসূচি আয়োজন করতে হবে। মন্ত্রীদের দলিতের গ্রামে রাত কাটাতে হবে। ১১ এপ্রিল পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে আসা জ্যোতিবা ফুলের জন্মদিন পালন করতে হবে। এ দিনই কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়মন্ত্রী থেবরচাঁদ গহলৌত জানিয়েছেন, গণবিবাহের আসরে বিয়ে হবে তাঁর নাতির। যা দলিতদের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এরই মাঝে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আর এক দলিত সাংসদ অশোক দোহরে।
দলিত এখন মোদী সরকারের গলার কাঁটা। সঙ্ঘও বিজেপিকে সতর্ক করে দলিতদের সঙ্গে নিতে বলেছে। অমিত শাহ আজ বলেন, ‘‘দলিত নিয়ে রাহুলবাবা মিথ্যা প্রচার করছেন। কংগ্রেস চাইলেও বিজেপিই দলিতদের সংরক্ষণ তুলতে দেবে না।’’ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার জবাব, ‘‘দলিত-আদিবাসী নিয়ে বিজেপি-সঙ্ঘের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’’