কাল থেকে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে বিজেপি। কিন্তু ততই আক্রমণাত্মক হচ্ছেন রাহুল গাঁধীরা। অমিত শাহের ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাহুল এ বার সরাসরি নিশানা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
মোদীর রাজ্য গুজরাতে যাওয়ার আগে আজ সকালেই রাহুল টুইট করে বলেন, ‘মোদীজি, জয় শাহ-জাদা খা গ্যয়া! আপনি চৌকিদার না ভাগীদার?’ মোদী-শাহের গড়ে রাহুল জনসভায় প্রশ্ন তোলেন, ‘‘৩-৪ বছরে আপনাদের কারও সংস্থা ৫০ হাজার টাকাকে ৮০ কোটি করতে পারবে?’’ জনতার জবাব— না! ‘‘মোদীজি যে বলেন— না খাবেন, না খেতে দেবেন! কোথায় গেল তাঁর চৌকিদারি?’’
আরও পড়ুন: নীতির প্রশ্নে আডবাণীরা পদত্যাগই করেছিলেন
নাজেহাল অমিত আজও মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকেই সাংবাদিকদের সামনে বসান। ধেয়ে এল অজস্র প্রশ্ন— l সাংবাদিক রোহিনী সিংহ তো রবার্ট বঢরার দুর্নীতিও ফাঁস করেছিলেন। তখন বিজেপির প্রিয় ছিলেন, আজ তিনি ‘সুপারি সাংবাদিক’? l এক জন আম নাগরিকের হয়ে কেনই বা মন্ত্রীকে সওয়াল করতে হচ্ছে? l ফুলে ফেঁপে ওঠা ব্যবসা মাত্র দেড় কোটি টাকা লোকসানে কেন বন্ধ করলেন জয়?
পীযূষ বলেন, রবার্টের বিষয়টি আলাদা, জয় সৎ ব্যবসায়ী। মন্ত্রী হয়ে তাঁর পক্ষে সওয়াল করছেন— কারণ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের নাম জয়ের সঙ্গে টানা হচ্ছে। আর দেড় কোটি টাকা লোকসান কি কম?
লখনউ থেকে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, ‘‘কাল জয়ের ব্যবসার সঙ্গে নোট বাতিলকে জুড়েছিলেন রাহুল। জানেন না, নোট বাতিলের আগেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেন জয়।’’
দিল্লিতে আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘নোট বাতিলের আগে জয় কেন ব্যবসা গোটালেন, সেটাই তো প্রশ্ন! তদন্ত হোক, আর তত দিন অমিত পদ থেকে সরে থাকুন।’’ কাল বিজেপি দফতরে বিক্ষোভও দেখাবে কংগ্রেস।
কলকাতায় এআইসিসি-র মুখপাত্র গৌরব গগৈ বলেন, ‘‘মোদী ‘বিকাশ কা জয়’-এর কথা বলেন। দেখা গেল ‘জয় কা বিকাশ’ সেটা!’’ লালু প্রসাদ ও তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবও এই সুযোগ ছাড়েননি। লালু টুইটে বলেছেন— ‘উন্নয়নে বাবার সম্পত্তি ৩০০ গুণ আর ছেলের ব্যবসা ১৬ হাজার গুণ বেড়েছে। খবরদার কেউ কিছু বোলো না। আয়কর দফতর, সিবিআই, ইডি ও অনুগত মিডিয়া রয়েছে ওদের!’ তেজস্বী আবার নীতীশকে বিঁধে টুইটে বলেছেন— ‘নীতীশজির অন্তরাত্মা এ বার কী বলে?’ লালু-পুত্র তেজস্বীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেই নীতীশ মহাজোট ভেঙে বিজেপির হাত ধরেন। সেই সময়ে তিনি এই অন্তরাত্মার কথাই বলেছিলেন।