আজ আর পথে নেমে আন্দোলন নয়। হ্যাটট্রিকের পর আজ ফের আটক হওয়ার চেষ্টাও করেননি। কিন্তু ‘এক পদ, এক পেনশন’ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর উপর চাপ আরও বাড়াতে এ বারে ৫০০ দিন ধরে ধর্নায় বসা প্রাক্তন সেনাদের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল গাঁধী।
আজ দুপুরে দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে রাহুল দেখা করলেন ‘এক পদ, এক পেনশন’ (ওআরওপি) নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনাদের সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিও। পরে রাহুল বললেন, ‘‘ওআরওপি নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এ’টি চালু হলে সেনারা এখনও অসন্তুষ্ট কেন?’’ তাঁর দাবি— সরকার শুধুই পেনশন বাড়িয়েছে। সেনা পরিবারের কাছে ক্ষমা চান মোদী। রাহুল এই কথা বলার সময়ে তাঁকে সাধুবাদ দিচ্ছিলেন প্রাক্তন সেনারা। রাহুল বলেন, সেনারা তাঁকে বলেছেন— বাড়তি টাকা নয়, সম্মানের জন্যই লড়ছেন তাঁরা।
প্রাক্তন সেনা-জওয়ান রামকিশন গ্রেবালের আত্মহত্যার পর থেকেই রাহুল গাঁধী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মোদীর সেনা-অভিযানের কৃতিত্বে ফাটল ধরাতে। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। টক্কর দিতে কলকাতা থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল হরিয়ানার ভিওয়ানিতে আত্মঘাতী জওয়ানের শেষকৃত্যে সামিল হয়ে আজই কলকাতা ফিরেছেন ডেরেক। কলকাতা থেকে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘রাজনীতি
ওয়ান ডে ম্যাচ নয়। সংসদেও বিষয়টি তোলা হবে।’’
রাহুল এ বাবে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামায় বিজেপি যে ফাঁপরে পড়েছে, অরুণ জেটলির মতো বড় নেতা আজ মুখ খোলায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। বড় নেতাদের এই রাজনীতি থেকে বিরত থাকা উচিত।’’ পরে বিজেপিও সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে, রাহুল এখন লাশের রাজনীতি করছেন। অথচ এই কংগ্রেসই দশ বছর ওআরওপি নিয়ে কিচ্ছু করেনি। মোদী সরকার ওআরওপি চালু করেছে। এই নিয়ে যা যা অসঙ্গতি রয়েছে, সেগুলিও দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরও জানিয়েছেন, মাত্র এক লক্ষ প্রাক্তন সেনা এখনও ওআরওপি-র আওতার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের সমস্যাও অচিরেই দূর করা হবে।