সাক্ষাৎ: লালুপ্রসাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল গাঁধী। সোমবার এইমসে। ছবি: পিটিআই।
জিনস আর কুর্তা পরে রাহুল গাঁধী পৌঁছে গেলেন রাজধানীর এইমসের পুরনো ওয়ার্ডের ১০১ নম্বর ঘরে। রাঁচীতে নিয়ে যাওয়ার আগে সে ঘরেই তখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ‘জেলবন্দি’ লালু প্রসাদ। দু’জনে হাত মেলালেন, আধ ঘণ্টা কথাও হল রাজনীতি নিয়ে।
মনমোহন জমানায় লালুর মতো নেতাদের আড়াল করতে আনা অধ্যাদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন রাহুল। সেই তিক্ততা অবশ্য আগেই অনেকটা কেটেছে। বিহারে কংগ্রেস এখন আরজেডি-র জোটসঙ্গী। কিন্তু আগামী লোকসভা ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখে রাহুল সকাল সকালই পৌঁছলেন হাসপাতালে।
কিন্তু বিজেপি ছাড়বে কেন? অমিত শাহ বললেন, ‘‘ইউপিএ জমানায় অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ছিলেন রাহুল। এখন বুঝছেন, ২০১৯-এ লালুর সমর্থন ছাড়া চলবে না। এ ভাবে দুর্নীতিমুক্ত সরকার হয় না।’’ বিজেপি বলছে, নীরব মোদীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেখায় কংগ্রেস। আর সাজা পাওয়া আসামির কাছে চলে গেলেন রাহুল!
কংগ্রেসের মুখপাত্ররা দিনভর বললেন, লালুর মাপের নেতা যখন হাসপাতালে, তখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌজন্যের। বিজেপি নিচু স্তরের রাজনীতি করছে। ঘরোয়া স্তরে কংগ্রেসের এক নেতার ব্যাখ্যা— সনিয়া চাইছেন, দলকে শক্ত করার পাশাপাশি শরিক নেতাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ুন রাহুল। তাই বিজেপির আক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও লালুর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সভাপতি।