আগেভাগে ইউপিএ-৩ গড়াই লক্ষ্য রাহুলের

রাহুল গাঁধী মনে করছেন ২০১৯ সালের আগেই ইউপিএ-৩ গড়ে ফেলতে পারলে সেটাই হবে মোদীর বিরুদ্ধে প্রকৃত ধাক্কা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০২:২৮
Share:

রাহুল গাঁধী।

অনাস্থা ভোটের চেয়েও নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী জোট গঠনে অনেক বেশি উৎসাহী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। অনাস্থা প্রস্তাব আনাটা জগন্মোহন রেড্ডির উদ্যোগ। বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে তাকে স্বাগত জানালেও, রাহুল গাঁধী মনে করছেন ২০১৯ সালের আগেই ইউপিএ-৩ গড়ে ফেলতে পারলে সেটাই হবে মোদীর বিরুদ্ধে প্রকৃত ধাক্কা।

Advertisement

বিজেপি একই ভাবে মরিয়া যাতে এই ফ্রন্ট ২০১৯ সালের আগে গঠন না হয়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তাই প্রশ্ন তুলেছেন— আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের নেতা কে?

ফ্রন্ট গঠনের পথে অবশ্য এখনও বাধা অনেক। রাহুল তৃতীয় ইউপিএ চাইলেও, চন্দ্রবাবু নায়ডু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর রাও, মায়াবতীর দল চাইছে শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসকেও বাদ দিয়ে জোট তৈরি হোক। ওই নেতাদের বক্তব্য, এ’টি হবে ’৮৯ মডেল। যেখানে বড় দল বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিল। সেই মডেল অনুসরণ করে একটি অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি ফ্রন্ট গঠন করা হোক।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনকে ঠেকাতে মার্কিন সফর লাম্বার

কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া নিয়ে সিপিএমের মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কারাটপন্থীরা বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখতে চান। অতীতে অমর সিংহ এক বার জয়ললিতাকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ ফ্রন্ট গঠন করায় সিপিএম ব্যাপক চটে যায়। অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস ও তৃতীয় ফ্রন্টের ঐক্যকে বিনষ্ট করে বিজেপির হাত শক্ত করতেই ওই উদ্যোগ নিয়েছিলেন অমর সিংহ। এখন চন্দ্রশেখর রাও বা চন্দ্রবাবু নায়ডুও রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে কংগ্রেস থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। আবার এঁরা যে ভবিষ্যতে এনডিএ-তে যোগ দেবেন না, সে কথাও জোর দিয়ে বলা যায় না। মমতাও সমদূরত্ব নীতি মেনেই এগোচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement