কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।- ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র হাত থেকে বেটি বাঁচাও (বিজেপি সে বেটি বাঁচাও)!
সোমবার এই নতুন স্লোগান দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বিজেপি-র ‘বেটি বাঁচাও’-এর পাল্টা স্লোগান।
কাঠুয়া, উন্নাও, সুরাত সহ ধর্ষণের একের পর এক ঘটনায় যখন তোলপাড় গোটা দেশ, তখন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ-র প্রধান শরিক দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ দিন এই ভাবেই বিঁধলেন রাহুল। বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের হাত থেকে দেশের মহিলাদের সম্মান বাঁচানোর স্লোগান দিয়েই থেমে থাকেননি, রাহুল এও বলেছেন, দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতো দেশের সবক’টি প্রতিষ্ঠানকেও নষ্ট করছে বিজেপি। আরএসএসের মতাদর্শ ছড়াতে গিয়ে খর্ব করছে সাংবিধানিক অধিকার।
কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, দলিত, সংখ্যালঘু ও মহিলাদের উন্নয়নে আদৌ আগ্রহ নেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর। কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পান বা নাগরিকদের জন্য কী ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, সে সব নিয়ে চিন্তা-ভাবনার সময় নেই প্রধানমন্ত্রীর। ওঁর সব ভাবনাচিন্তা ওই প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়েই।
দলের ‘সেভ দ্য কনস্টিটিউশন’ (সংবিধান বাঁচাও) কর্মসূচির উদ্বোধন করে সোমবার কংগ্রেস সভাপতি বিজেপি-কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিজেপি স্লোগান দেয় ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের একের পর এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন ‘বিজেপি-র হাত থেকে বেটি বাঁচাও’ বা ‘বিজেপি বিধায়কদের হাত থেকে বেটি বাঁচাও’-এর মতো স্লোগান খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে!’’
রাহুলের ওই মন্তব্যের লক্ষ্য ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর মন্ত্রিসভা থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া দুই বিজেপি মন্ত্রী, যাঁরা কাঠুয়ায় শিশু ধর্ষণের অপরাধীদের দীর্ঘ দিন ধরে আড়াল করে চলছিলেন।
আরও পড়ুন- হিন্দুত্ব প্রচারের পাশাপাশি বিজেপির মূল লক্ষ্য রাহুল
আরও পড়ুন- অমিত-সত্য বেরোবেই, টুইট রাহুলের
দলিতদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্য নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করতে পিছপা হননি কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের কথায়, ‘‘মোদীজি বলেছেন, যাঁরা মলমূত্র ও আবর্জনা পরিষ্কার করেন, তাঁরা চাইলেই সেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি। কারণ, ওই কাজটাই ওঁদের আত্মাকে খুশি রাখে, সন্তুষ্ট রাখে। এমনটা যিনি ভাবেন, তিনি দলিতদের উন্নয়নে কতটা আগ্রহী হতে পারেন? এটা আসলে আরএসএসের মতাদর্শ।’’
রাহুলের অভিযোগ, মোদী জমানায় এমন লোকজনেই সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি ভরে গিয়েছে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে এ সব নিয়ে তাঁকে ১৫ মিনিট বলতে দেওয়া হোক, এমন দাবিও জানান কংগ্রেস সভাপতি।