কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি- সংগৃহীত।
কংগ্রেসের হবু সভাপতি রাহুল গাঁধীর বড় ভুল হয়ে গেল অঙ্কে! শতাংশের হিসেব কষতে গিয়ে পদে পদে ভুল করলেন তিনি।
মোদী জমানায় গত তিন বছরে কতটা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, ডাল, পেঁয়াজ, দুধ আর ডিজেলের দাম, তা টেবিলে সাজিয়ে টুইট করা হয়েছিল রাহুলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। তাতে দেখানো হয়েছিল গরিব মানুষ ও মধ্যবিত্তদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ৬টি পণ্যের প্রত্যেকটিরই দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০/২৫০ শতাংশেরও বেশি!
সেই টুইট দেখে তো সকলের চোখ ছানাবড়া! মুখ চাওয়াচায়ি থেকে শুরু হয়ে গেল গুঞ্জন। তাই নাকি? এটা সত্যি?
মঙ্গলবার সাতসকালে সেই খবর কানে কানে রটে যেতেই টনক নড়ে কংগ্রেসের হবু সভাপতির কার্যালয়ের। দ্রুত বদলে ফেলা হয় ওই ৬টি পণ্যের দামবৃদ্ধির হারের টেবিল।
শতাংশের হিসেবে ‘সেমসাইড’ ছ’ছটি গোল খেয়ে পার্সেন্টেজ থেকে প্রাইস রাইজ (দামবৃদ্ধি)-এ টেবিল বদলে ফেলেন রাহুল, তাঁর অফিসিয়াল সাইটে। যাঁরা আগে সেই টুইটে চোখ বুলিয়েছিলেন, নতুন টুইট দেখে ফের চোখ কপালে ওঠে তাঁদের! কোথাও ভুল স্বীকার হয়নি যে!
আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলার শুনানি পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি
আরও পড়ুন- নাম বিভ্রাট, সোশ্যাল মিডিয়া ভ্রান্তিবিলাসে
টুইটে প্রথমে লেখা হয়েছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ২০১৪ সালে ছিল ৪১৪ টাকা। আর এ বছর তা হয়েছে ৭৪২ টাকা। কতটা বেড়েছে? ১৭৯ শতাংশ!
গরীব মানুষের খুব প্রিয় ডালের দাম তিন বছর আগে ছিল প্রতি কিলোগ্রামে ৪৫ টাকা। বাড়তে বাড়তে তা এ বছরে পৌঁছেছে ৮০ টাকায়।
হবু কংগ্রেস সভাপতির পার্সেন্টেজের হিসেব বলেছিল, সেই দামবৃদ্ধিটা আসলে ১৭৭ শতাংশ! একই ভাবে টুইটে সাজানো টেবিলে রাহুল দেখিয়েছিলেন গত তিন বছরে পেঁয়াজ, দুধ আর ডিজেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২৮৫%, ১৩১% আর ১১৩%!!!
বিরোধীদের কটাক্ষ, শতাংশের হিসেব কষার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম-বৃদ্ধিকে ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট’ মার্কস দিতে গিয়ে ‘জিরো’তে ‘বোল্ড আউট’ রাহুল আর শতাংশের হিসেবে যেতে চাননি! চলে গিয়েছেন টাকার হিসেবে, তাঁর শুধরে নেওয়া পরের টেবিলে!
যেখানে টেবিলে দেখানো হয়েছে, সিলিন্ডার, ডাল, পেঁয়াজ, দুধ আর ডিজেলের দাম গত তিন বছরে বেড়েছে যথাক্রমে ৩২৮, ৩৫, ৪০, ১২ আর ৭ টাকা।
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সাধারণ মানুষের যে নাভিশ্বাস উঠেছে বাজারের থলি হাতে, গুজরাত বিধানসভা ভোটের আগে সেটা বোঝাতেই এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টুইট করে চলেছে রাগুল গাঁধীর অফিস।
বিরোধীদের কটাক্ষ, মঙ্গলবারই কংগ্রেসের ঘোর অমঙ্গলটা করে ফেললেন দলের হবু সভাপতি! গোল দিতে গিয়ে না জানার সাক্ষ্য রেখে ছ’ছটা গোল খেয়ে বসলেন তিনি! কংগ্রেসও!