কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রাহুল গাঁধী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেই জঙ্গি তকমা পেতে হয়। যদি আরএসএস প্রধানও বিরুদ্ধে বলেও তিনিও ছাড় পাবেন না।’’ আক্রমণের পাশাপাশি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন রাহুল।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাহুল। তাঁর নেতৃত্ব কংগ্রেস কর্মীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। যদিও পুলিশ প্রিয়ঙ্কা-রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আগেই আটকে দেয়। রাহুল-সহ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যেতে হওয়া হয়। প্রিয়ঙ্কা-সহ অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ বাসে করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘কাছের পুঁজিপতি জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই জঙ্গি তমকা পেতে হবে। সে কৃষকই হোক, শ্রমিক হোক বা মোহন ভাগবত।’’ সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে গণতন্ত্র নেই। আপনারা যদি কেউ আছে ভাবেন সেটা আপনার কল্পনায় আছে।’’
প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণের পাশাপাশি দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় চলা কৃষক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন রাহুল। এই কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য সাংসদে ফের আলোচনা করা দাবিও জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার তড়িঘড়ি করে গায়ের জোরে এই আইন পাশ করিয়েছিল। আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি। পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কা বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘পাপী’ বলে অভিহিত করেছেন।