চিদম্বরমের কাছে রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের জামিনের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই আজ তিহাড়ে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

তিহাড় জেল থেকে আদালতের পথে চিদম্বরম। পিটিআই

তিহাড় জেলে গিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আর তার পরেই চিদম্বরম-পুত্র কার্তির দাবি, এতেই প্রমাণিত, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কংগ্রেস তাঁদের পাশেই রয়েছে।

Advertisement

আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের জামিনের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই আজ তিহাড়ে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কারা। তার পরেই শীর্ষ আদালতে চিদম্বরমের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘হাইকোর্ট চিদম্বরমের আর্জি খারিজ করতে গিয়ে বলেছে, জামিন দিলে ভুল বার্তা যাবে। যেন তিনি রঙ্গা, বিল্লার মতো অপরাধী।’’ সিব্বলের যুক্তি, ৯৯ দিন ধরে জেলে রয়েছেন চিদম্বরম। এই সময়ের মধ্যে ইডি তাঁকে জেরা করেনি, কোনও সাক্ষীর মুখোমুখি বসানো হয়নি তাঁকে, তিনি পালিয়ে যাবেন কিংবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করবেন, এমন আশঙ্কাও নেই। তা সত্ত্বেও হাইকোর্ট জামিন দেয়নি চিদম্বরমকে। সিব্বলের মন্তব্য, ‘‘কোনও একটি ইমেল, এসএমএস বা এমন কোনও নথির অস্তিত্ব নেই, যাতে মনে হতে পারে চিদম্বরম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে, তবে তাঁকেই দুর্নীতির মাথা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কারণ, তিনি কার্তির বাবা।’’ এই মামলার শুনানি আগামী কাল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ কোর্ট।

চিদম্বরমকে দেখতে কিছু দিন আগে তিহাড়ে যান সনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহ। আজ রাহুল-প্রিয়ঙ্কা ছিলেন ৫০ মিনিট। এর পরে পরিবারের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চিদম্বরম। পরিবারের মাধ্যমে তাঁর একটি টুইটে লেখা হয়েছে, ‘‘২০১৯-র সংবিধান দিবসে মানুষের মনে থাকবে ২৩-২৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে সাংবিধানিক ব্যবস্থা আক্রান্ত হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন তোলার সিদ্ধান্তে সই করানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে ঘুম থেকে তোলানো হয় ভোর চারটেয়। এটা রাষ্ট্রপতির দফতরের প্রতি আঘাত ছাড়া কিছু নয়। সকাল ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল না কেন?’’ তাঁর মতে, দলীয় স্বার্থকে উর্ধ্বে তুলে মহারাষ্ট্রে সেনা-কংগ্রেস-এনসিপি-র উচিত বিনিয়োগ, সামাজিক ন্যায় ও কৃষকের স্বার্থে কাজ করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement