ওয়েনাড়ে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছবি: এক্স।
বুধে ওয়েনাড় যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেননি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তবে কথা দিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে যাবেন। ওয়েনাড়বাসীকে দেওয়া কথা রাখলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। বৃহস্পতিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে পৌঁছে গেলেন তাঁরা। দুর্যোগ এখনও রয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে এখনও। ঢিবির মতো জমে থাকা কাদামাটি প্রতি মূহূর্তে জানান দিচ্ছে, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। এর মধ্যেই গায়ে বর্ষাতি চাপিয়ে ওয়েনাড়ের চুরালমালা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গেলেন দু’জনে।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে ধস নেমে ওয়েনাড়ের যে চারটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি চুরালমালা। গ্রামের উপর দিয়ে কী ‘তাণ্ডব’ বয়ে গিয়েছে, তা চাক্ষুষ করলেন উভয়েই। রাহুল ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া আসন ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে এ বার প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। চুরালমালায় পৌঁছে দু’জনেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন। কথা বললেন সেখানে উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও।
গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল ওয়েনাড়ে। যার জেরে চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা, নুলপুঝার মতো গ্রামগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ওয়েনাড় পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের, যেখানে সারা বছর স্নিগ্ধ, শান্ত পাহাড়ের মনোরম শোভা, সেই ওয়েনাড়ে এখন শুধুই স্বজন হারানোর কান্নার রোল।
ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিআইজি মহসিন শাহিদি জানিয়েছেন, দু’শোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘড়ির কাঁটা যত এগোচ্ছে, জীবিতদের উদ্ধারের আশা তত ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে ওয়েনাড় ও সংলগ্ন এলাকায়। ফলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও থাকছে।