PM Narendra Modi

তপ্ত প্রতিবেশী বলয় উহ্য রইল বিদেশ-রিপোর্টে

তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে আন্তর্জাতিক রণকৌশলগত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তিনটি সফর যথাক্রমে মস্কো, ইউক্রেন এবং আমেরিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৪২
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

তৃতীয় দফার মোদী সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রকের ‘একশো দিনের’ কাজের খতিয়ান নিয়ে ইতিমধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। সব শেষে এ বার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও তুলে ধরা হল কাজের তালিকা। কিন্তু তাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক যৌথ প্রকল্প, উন্নয়ন যোজনা, সামরিক সমন্বয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিবেশ ক্ষেত্রে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলি বিশদে উল্লেখ থাকলেও, রইল না উত্তপ্ত প্রতিবেশী বলয় এবং যুদ্ধকালীন বিশ্বে ভারতের কৌশলগত অগ্রগতির কোনও দিশা বা পদক্ষেপের কথা। বিদেশ মন্ত্রক কর্মতালিকা প্রকাশের পর এটাই বিশেষজ্ঞ মহলের প্রতিক্রিয়া।

Advertisement

তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে আন্তর্জাতিক রণকৌশলগত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তিনটি সফর যথাক্রমে মস্কো, ইউক্রেন এবং আমেরিকা। কিন্তু এই তিন সফরের পর শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে ভারত কী পদক্ষেপ করল, অথবা এই তিন রাষ্ট্রনেতার কাছে কোনও কার্যকরী সমাধান সূত্রের সন্ধান দিতে পারল কি না, তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থা, তেল এবং সারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোনও ‘মেকানিজ়ম’ ভারত এই একশো দিনে তৈরি করে উঠতে পারল কি না তা স্পষ্ট নয়। সব চেয়ে বড় কথা, ঘাড়ের কাছে বাংলাদেশে যে ইসলামিক মৌলবাদ এবং ভারত-বিরোধিতার বাড়বাড়ন্ত চলছে, তার কূটনৈতিক মোকাবিলা নিয়ে একটি কথাও নেই। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁর সম্ভাব্য ভবিষৎ নিয়েও কোনও অবস্থান নেই। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের সঙ্গে কী ভাবে সম্পর্ক সুরক্ষিত রাখা হবে, ভারতের মাটি দখল করে বসে থাকা চিনা সেনাকে কবে ফেরানো সম্ভব হবে, তার কোনও উল্লেখই দেখা যায়নি একশো দিনের কাজে।

যে তালিকাটি দেওয়া হয়েছে তাতে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং বিদেশমন্ত্রীর গত তিন মাসে সফররত দেশগুলির তালিকা দেওয়া হয়েছে। গত সাড়ে তিন মাসে হওয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলির তালিকা, যেখানে যেখানে ভারত অংশ নিয়েছে এবং নিজেরা আয়োজন করেছে। তৃতীয় দফায় রয়েছে বিশ্বে ৭টি নতুন ভারতীয় দূতাবাসের তালিকা। রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে করা অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে অংশিদারীর মতো বিষয়গুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement