মাংস বিক্রি বন্ধ নিয়ে উঠছে সওয়াল। ফাইল চিত্র।
নবরাত্রির সময়ে দিল্লিতে মাংসের দোকানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি পুর নিগমের মেয়র। তা নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা আসনের বিজেপি সাংসদ পরবেশ সাহিব সিংহ বর্মা দাবি তুললেন, নবরাত্রিতে গোটা দেশে মাংসের দোকান বন্ধ রাখা উচিত। বিজেপি নেতাদের এই মনোভাবের নিন্দায় সরব বিরোধী নেতানেত্রীরা।
২ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নবরাত্রি। সেই উপলক্ষে দিল্লিতে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ফরমান জারি করেন দক্ষিণ দিল্লি পুরসভারর মেয়র মুকেশ সুরিয়ান। সেই সুরে আজ সুর মিলিয়ে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পরবেশ সাহিব সিংহ বর্মা বলেন, ‘‘নবরাত্রিতে দেশ জুড়ে মাংসের দোকান বন্ধ রাখা উচিত। আসাদুদ্দিন ওয়েইসির মতো নেতারা এ নিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলবেন। মুসলিমদের তাতে কান দেওয়া উচিত নয়। ওদের উচিত হিন্দুদের উৎসবগুলিকে সম্মান করা।’’
দক্ষিণ দিল্লি পুর নিগমের ফতোয়া এবং দিল্লির বিজেপি সাংসদের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের টুইট, ‘‘আমি দক্ষিণ দিল্লিতে থাকি। আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন আমি মাংস খাবো— সংবিধান আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে। মাংস বিক্রেতাদেরও ব্যবসা চালানোর স্বাধীনতা আছে’। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘রমজানের সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমরা কিছু খাই না। আমি মনে করি, মুসলিম প্রধান এলাকায় অ-মুসলিম এবং পর্যটকদের জন্যও ওই উপবাসের নিয়ম চালু করি, তা হলে বোধ হয় ঠিকই হবে’।
দক্ষিণ দিল্লি পুর নিগম এলাকায় দেড় হাজার মাংসের দোকান রয়েছে। এই প্রথম নবরাত্রির সময় পুর কর্তৃপক্ষ সেগুলি বন্ধের নির্দেশ দিলেন। তবে এই দোকানগুলিকে আগেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়েছে বলে খবর। প্রকাশ্যে কাটা মাংস ঝুলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছিল পুরসভা। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আজ অনেক মাংসের দোকান বন্ধ ছিল, আবার কিছু দোকান খোলাও রাখা হয়।