রথ উপলক্ষে বিপুল জনসমাগম পুরীতে। ছবি— পিটিআই।
রথযাত্রা লোকারণ্য, মহা ধুমধাম! অতিমারির দাপটে ২ বছর নমো নমো করে সারার পর এ বছর আবার সেই পুরনো ছবি দেখা যাবে জগন্নাথদেবের শহর পুরীতে। তবে এখনও করোনা এখনও পিছু ছাড়েনি। ফলে, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ওড়িশার পট্টনায়ক সরকার।
২ বছর পর আবার চেনা ছবি ফিরছে পুরীতে। ৩০ জুন, বৃহস্পতিবার এবং ১ জুলাই, শুক্রবার পুরোদস্তুর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে সমুদ্র-শহরে। প্রশাসনের অনুমান, রথযাত্রায় অংশ নিতে এ বছর ১৪ লক্ষেরও বেশি ভক্ত আসছেন শহরে। যা এখনও সর্বকালীন রেকর্ড। এ দিকে করোনা পরিস্থিতি এখনও বহাল। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সমস্ত রকম ব্যবস্থা তৈরি রাখছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, টিকাকরণ শেষ না করে কেউ শহরে ঢুকতে পারবেন না। সে জন্য রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, বাস টার্মিনাসে খোলা হয়েছে বিশেষ কাউন্টার। যেখানে প্রতিটি যাত্রীর টিকাকরণের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কারও টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রথ উপলক্ষে শহরে প্রায় ১২ লক্ষ মাস্ক বিনামূল্যে বিলি করছে প্রশাসন। মাস্ক না পরলে ঢোকা যাচ্ছে না জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। শহরের রিকশা, টোটো ও ট্যাক্সি চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাস্ক না পরা কোনও আরোহীকে না তুলতে। বাসের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ প্রযোজ্য। শহরে ঢোকা, বেরোনোর রাস্তায় একাধিক ‘নাকা পোস্ট’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকের টিকাকরণের শংসাপত্র পরীক্ষা করে তবেই শহরে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
জগন্নাথদেবের রথের উপর থাকেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন করে সেবায়েত। তাঁদের প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় করোনা পরীক্ষার তাঁবু ফেলা হয়েছে। যন্ত্র নিয়ে পথে ঘাটেও ঘুরছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার চলছে সর্বক্ষণ।
সব মিলিয়ে, অতিমারি পেরিয়ে নতুন করে রথযাত্রায় ধুমধামের জন্য তৈরি পুরী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।