পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারীলাল পুরোহিত। ফাইল চিত্র।
ইস্তফা দিলেন পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারীলাল পুরোহিত। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে শনিবার তাঁর ইস্তফাপত্রও পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। কী কারণে ইস্তফা দিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণেই’ তিনি ইস্তফা দিলেন। কিন্তু তাঁর আচমকা এই ইস্তফা রাজ্য এবং রাজ্যপালের সাম্প্রতিক ‘সংঘাতের’ জল্পনা উস্কে দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বিলে অনুমোদন না দেওয়ায় রাজ্যের আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের সঙ্গে একটা টানাপড়েন শুরু হয় গত বছরের শেষের দিকে। তা ক্রমশ ‘তিক্ততা’র পর্যায়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে, বিল নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের ‘সংঘাত’ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করে, বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কয়েকটি বিল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তখন জানিয়েছিল যে, রাজ্যপাল বিলে অসম্মত হতেই পারেন, কিন্তু বিলটি তিনি অসম্মতি প্রকাশ করে বা সম্মতি প্রকাশ স্থগিত রেখে আটকে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে বিলটি ফেরত পাঠাতে হবে।
বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেন, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। সুতরাং নির্বাচিত সরকারের আইন প্রণয়নের কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে।
এর পর রাজ্যপালের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন। এক জন রাজ্যপাল কী ভাবে এমন করতে পারেন? পঞ্জাবে যা হচ্ছে তাতে আমরা খুশি নই। আমরা কি সংসদীয় গণতন্ত্র বজায় রাখব?”